সোহাগপুরা | Sohagpura

জানত Gap লোক-_-ষে ছুধ-দছির দোকানের নামনে বসে ওরা কথা কয়েছিল সেই দোকানদার | কিন্ত সে এ সারেঙ্দী ও তবল্চীর বহুদিনের বন্ধু, সে চুপ ক'রে রইল । নাচওয়ালীদেরও খবর sai wafer! কিন্তু তারাই বা কি জানে? তারা তার পরের দিন সহজ ভাবেই নাচতে এসেছিল, তাদের বিশেষ সন্দেহ করার কথাও কারুর মনে আসে fF | লালীর মা মাথা খুঁড়ে নিজেরই ললাট রক্তাক্ত ক'রে তুললেন শুধু | কেদে কেঁদে শুধু নিজেরই চোখ weeny ক'রে তুললেন ৷ সে অপরিমাণ চোখের জলও না৷ পারল দিল্লির রুক্ষ বালুময় রাজপথকে সিক্ত করতে, আর না পারল ভাগ্যদেবতার কঠিন হৃদয়কে কোমল করতে । পাচ সাত দিন-__এক মাস ছু মাস-_বসে বসে বৃথা চেষ্টা ক'রে গোলাম আলি হাল ছেড়ে COTM গেলেন আজমেঢ় | জীবনের বাকী কটা দিন যা হয় ক'রে গুজরান Sai, এই তো! মোটা টাকা রোজগারের আশা বা ইচ্ছা কিছুই নেই যখন-_-তখন একটা তীর্থস্থানে থাকাই sta দ্িনাস্তে ছুজনের gata রুটি, মিলেই যাবে। না হয়, আজম শরীফের দরগায় বসে ভিক্ষা করতে তো পারেন! কত কি স্বপ্ন _কত কি উচ্চাশা নিয়ে দিল্লী এসেছিলেন-_এই নিষ্ঠুর নগরীর স্থারপ্রাস্তেই জীবনের যথাসর্বস্ব বিসর্জন দিয়ে ভগ্নন্বৃদয়ে চলে গেলেন মরুক্তমির পথ ধরে | এ জিন্দিগীও তো মরুভূমি হয়ে গেল । মিলবে ভাল! ॥ দুই ॥ মেহ্‌রৌলিতে পৌছে দলের সঙ্গে লালীর ছাড়াছাড়ি হয়ে গেল । কারণ দলের মালিক সারেঙ্গী হরুদ্দীন মিয়। শেষ পর্যন্ত এসব ঝামেলায় যেতে রাজী হ'ল না৷ | কোতোয়ালকে তার বড় ভয়। একবার মিথ্যে একটা মামলায় জড়িয়ে পড়ে তাকে কয়েকদিন কাটকে বাস করতে হয়েছিল । সেই CATs সে কোতোয়ালীর সাতশ” হাত দূরে থাকবার চেষ্টা করে । প্রথম থেকেই এত ঝুঁকি নেওয়াতে তার আপত্তি ছিল-_তার ওপর মেহ্‌রৌলিতে পৌছে ঘখন শুনল যে, এরই মধ্যে চারিদিকে খোজাখুজি শুরু হয়ে গেছে--কোতোয়াল সাহেব নিজে এ বিষয়ে উদ্ভোগী এবং সক্রিয় তখন একেবারেই বেঁকে দাড়াল নে | তব্ল্চী রা্টদ্ু মিয়াকে সোজাই বলে দিলে, “এসব হাঙ্গামে আমি নেই রাজু মিয়া; ১২