চাপরাশ | Chaprash

বই থেকে নমুনা পাঠ্য (মেশিন অনুবাদিত)

(Click to expand)
দাঁড়িয়েও বেশ ঠাণ্ডা লাগছে। BAS পৌঁছেই মনটা যেন কেমন অন্যরকম হয়ে গেছে চারণের | একেই কি স্থানমাহাত্ম্য বলে ? নিজেই যেন নিজের আয়না হয়ে গেছে । ও ভাবছিল যে, মানুষ-মানুষীর বাড়িতে প্রতি ঘরে ঘরে যত অসাবাব থাকে সেই PANG আয়নার সংখ্যা অতি কম | অথচ আয়নার মতন প্রয়োজনীয় আসবাব মানুষ আর অন্য কিছুই আবিষ্কার করেনি । অন্য সব আসবাবেরই বিকল্প অবশ্যই থাকতে পারে, কিন্তু আয়নার কোনও বিকল্প HA | TSS ঘরের মধ্যে নেই। আয়নার সামনে মূর্খ সংসারী মানুষেরা যখন দাঁড়ায়ও তখনও তারা প্রত্যেকেই তাদের বাহ্যিক রূপটিকেই দেখে । শুধুমাত্র শারীরিক AN! চোখের কাজল বা সুমা, কপালের টিপ, গোঁফের বা জুলপির ছাঁট, ঠোঁটের লিপস্টিক, দাড়ি-কামানো নিখুঁত হল কি না ! এই সবই । কিন্তু তাদের মনকে কি দেখে কখনও ? মানুষের মন কি দেখা যায় কোনও আয়নাতেই ? অবশ্য, দেখতে হয়তো কেউ চায়ও না | এখানে আসার পরে এই কয়েক ঘণ্টার মধ্যেই যেন চারণেব বুকের মধ্যে অগণ্য আয়নাগুলো সব নড়েচড়ে বসেছে । আশ্চর্য ! এতগুলো বছর যে ওরা কোথায় ছিল | পপem | cc) ————— = _ —m « অন্ধকার থাকতেই ঘুম ভেঙে গেল | যখন নিয়মিত গলফ খেলতে যেত কলকাতার টালিগঞ্জ গলফ ক্লাবে, তখন যেমন SVS | গত রাতে কিছুই খায়নি বলে শরীরটা খুবই হালকা লাগছিল | রুম-সার্ভিসে চা আর টোস্ট আনতে বলে দিয়ে, ও মুখ ধুয়ে বারান্দাতে এসে দাঁড়াল । পৃবের আকাশ তখনও স্পষ্ট হয়নি | হবে, আধঘণ্টার মধ্যেই | ত্রিবেনী ঘাট যেন ওকে হাতছানি দিচ্ছিল । কী এক অদৃশ্য টান বৌধ করছিল ও ৷ যেন কতদিনের পরিচিত এবং প্রিয় জায়গা | অনেকগুলি “'হোল' খেলবার পরে টলি-ক্লাবের চারদিক-খোলা খড়ের ঘরে বসে ছুটির দিনে বিয়ার খেতে খেতে আড্ডা মারবার নেশার মতন এক নেশাতে আচ্ছন্ন করেছে যেন তাকে ব্রিবেণী ঘাট | আশ্চর্য কাণ্ড ! চা আসতেই দুটি টোস্ট দিয়ে চা খেয়ে ও তৈরি হয়ে বেরিয়ে পড়ল | কেডস-টেডস বা গলফ শু এসব কিছুই তো আনেনি | এ তো আসা নয়, পালানো । পালাবার সময়ে তো সকলেই MHS বেরিয়ে পড়ে । কাবলি-জতো পরে তাড়াতাড়ি হাঁটাও যায় না। শালটা গায়ে জড়িয়ে নিল ও । একটা His কিনতে হবে | এই বয়সেই মাথার চুল পাতলা হয়ে গেছে। বাবারও টাক পড়ে গেছিল Hae | আর সবচেয়ে বেশি ঠাণ্ডা লাগে মাথাতেই । আর পায়েও | অথচ কাবলির সঙ্গে মোজা পরলে পা জুতোর মধ্যে ক্রমাগত পিছলে যেতে থাকে, হাঁটা যায় না । তাই পায়েও ঠাণ্ডা লাগছে | ট্রাউজার না পরাতে হাঁটুতেও শীত করছে | ঘাটে পৌঁছে দেখল, সূর্য তখনও ওঠেনি | কিন্তু সেই চাতালে রাত-কাটানো সব মানুষই প্রায় উঠে পড়েছেন ততক্ষণে । এক-দুজন অবশ্য তখনও ঘুমুচ্ছেন | বোধহয় রাতে দেরিতে শোওয়ার জন্যে অথবা বেশি গঞ্জিকা সেবনের জন্যে । ভীমগিরিকে দেখতে পেল না এদিক-ওদিক তাকিয়ে | তবে তার গুরুকে দেখল | তিনি যোগাসনে, একেবারে স্থির হয়ে চুপ করে বসে ছিলেন । দূর থেকে দেখে মনে হল তাঁর চারপাশের, পৃথিবী যেন মুছে গেছে তাঁর চোখ থেকে । সব কিছুই নড়ছে। কিন্তু তিনি অনড় | QO



Leave a Comment