শূন্যের মাঝারে বানাইল | Shunyer Majhare Banaila

বই থেকে নমুনা পাঠ্য (মেশিন অনুবাদিত)

(Click to expand)
হয়েছে, কিছু একটা হচ্ছে। কেউ তারা একা না Tl এতগুলান মানুষের নসিব এক সঙ্গে এক দড়িতে বাধা। কাজেই ভয় নেই। খাটে খাও । রোদ্দুরে মাটি কোপাও। নৌকায় অরণ্যে চলে যাও। কাঠ কেটে আন । বেঁচ। তারপর চাল ডাল মুন আন। এনে ভাগ করে দাও। ইঙ্কুল বসাও। ক্লাব ঘর কর। একটু ঠাকুরের নাম নিতে হয়, আটচালা করে তাও পুষিয়ে নেওয়া হয়েছে। অথচ নিতাইচরণ বোঝে না, সরকার কেন খাপ্পী দিন দিন | বাপ পিতামোর ফেলে আসা দেশটার গল্প তার জানা । বাপ বলত, দেশ একদিন স্বাধীন হবে। কী ভয়। কী আশংকা। দাঙ্গার সময় কারু মনে সুখ নাই। কখন ay জ!নি ঘরবাড়ি জ্বালিয়ে cai আর রাতে মুসলমান গাঁয়ে জিগিব উঠলেই যে যার ঘরবাড়ি ফেলে জঙ্গলে চলে যেত । জঙ্গলে লুকিয়ে পড়তে হত। আর কেবল মনে হত, লোক আসছে অসংখ্য, অসংখ্য লোক আসছে, জিগির দিচ্ছে। হাতে মশাল, সড়কি বল্লম। এবং এসেও গেল একদিন | তারপর যে যার মতো ঘরবাড়ি ফেলে নিশুতি রাতে নদী areca হেপারে উঠে cial বর্ডার পার হয়ে চলে আসা । তারপর ক্যাম্প আর ক্যাম্প। ঘরবাড়ি এখানে ওখানে উঠেছে একদিন । আবার সরকারী পরোয়ানায় ঘর ভেঙেছে। ট্রাক দাড়িয়ে থাকে। ছাগল ভেড়ার মতো তুলে নিয়ে কোথায় যেন দিয়ে আসে তাদের | ট্রাকে করে কোথা থেকে কোথায় যেন পৌছে দিয়েছে তাঁদের | নিতাইচরণ তার বিশ বাইশ বছরে কত কিছুর সাক্ষী । কেন এটা করে। কেন তাড়িয়ে বেড়ায়। ছু মুঠো অন্ন, আশ্রয়, জল এবং জমি AA তারা আর কিছু চায় না। তখন চরে লোকজন জমে গেছে। অভয় খুড়ো ভিড়ের মধ্যেই হাত তুলে বলেছে, ATA না। আমরা চোর ছ্যাচোর নই। খাটি খাই। কেউ আমাদের ছু-পয়স] দিয়ে কয়নি, দিলাম। ভগমান সাক্ষী। যেন অভয় aw এইটুকু বলেই সবাইকে শংকার কথা জানিয়ে দিল। ১৬



Leave a Comment