শিক্ষা, বিজ্ঞান ও সংস্কৃতি | Shiksha, Bigyan O Sanskriti

বই থেকে নমুনা পাঠ্য (মেশিন অনুবাদিত)

(Click to expand)
ঠ শিক্ষা, বিজ্ঞান ও সংস্কৃতি প্রত্যেক ব্যক্তি যাতে সামাজিক-অর্থনৈতিক-রাষ্ট্রনেতিক তথা জাতীয় আদর্শের একজন সফল স্রষ্টা হিসেবে আত্মপ্রকাশ করতে পারে সেই শিক্ষণের কাজে সামাজিক মাধ্যমকে মজবুত করে গড়ে তোলাই হবে বাস্তবসম্মত এবং বিজ্ঞানসম্মত কাজ | শিক্ষার মূল wie অনুধাবন করতে হলে সমগ্র শিক্ষার ব্যাপারটি এই পটতুমিকায় বিচার কবে দেখতে হবে। মনে রাখতে হবে আমর)! আধুনিক যুগের মানুষ ৷ প্রাচীন আদর্শের শেষ্ঠত্ব ও সর্বজনীন দিকটি অনুলরণ করতে যাওয়৷ মানে এই নয় অন্ধের মতো প্রাচীন যুগের দিকে ফিরে যাওয়া । 'শিক্ষ ব্যাপারটি তো নিছক জ্ঞানার্জনের ব্যাপার নয় ৰা কতকগুলি তথ্যের কচকচানি মগজে বা গলায় গলাধঃ:করণের ব্যাপার নয়। যা খুশি হিষ্জি-বিল্লি মগজে ও মুখে ঢুকিয়ে দেওয়া তাব কাজ নয়। মেকনের যুগে ইংরেজি fim প্রচলন হওয়ার সময় একদিকে cay পাশ্চাত্য দিগন্তের সঙ্গে আমাদের সংযোগের নতুন wats খুলে গিয়েছিল, তেমনি ক্ষতি হয়েছে অন্য দিক থেকে- কেননা, ইংরেজ তার ব্যবলায়িক ও সাম্রাজাবাদী স্বার্থে কেতাবী শিক্ষার দিকে জোর দিয়েছিল কেরানী-কুল তৈরির উদ্দেশ্ছে--মত্যিকারের মানুষ গড়ে তোলার দিকে নজর দেয়নি। ফলে, আমাদের জাতীয় স্বার্থ নিদারুণভাবে a হয়েছে--শিক্ষার কোনে জাতায় স্ম্পষ্ট নীতি তাই স্বাধীনোত্তর যুগেও ঠিক মতন গড়ে উঠেনি | স্বামী বিবেকানন্দ এক সময় যথার্থ ভাবেই বলেছিলেন, শিক্ষ৷ মানে কতকগুলি খবরাখবর জানার ব্যাপার নয়। কিংবা সেইসব তথ্যের ঠাসবুছনি দিয়ে মস্তিষ্ককে ভারাক্রান্ত করার ব্যাপার-স্তাপার ay) একটা যা-ছোক কিছু বদহজম করা প্রলয়ংকর কাঙ্ডকারখানা নয় এই শিক্ষার ব্যাপার। এর উদ্দেশ্য Ae অন্তরকমের। জ্ঞানের চবিতচর্বনকেই যদি শিক্ষা নাম দিয়ে অভিহিত করা৷ হয় তাহলে তো পাঠাগারের vaca জুপীকৃত বইয়ের জঞ্জাল Brcee আমরা খষি আ্যাখ্যা দিয়ে বসতাম। এই ছিল স্বামীজীর শিক্ষাচিন্ত|। ইংরেজ প্রবরিত শিক্ষার ধারায় ছিল শুধু তোতা পাখির মতো বুলি কপচানো | নকলবাজি করে বা মগজভারি করে যেন-তেন-প্রকারেণ একট “হোয়াইট কলারের' চাকরির জন্ত “পাশপোর্ট' সংগ্রহ করাই সেই শিক্ষার একমাত্র উদ্দেশ্য ছিল | মনুষ্যত্ব অর্জন বা বাক্তিত্বের সম্যক বিকাশ সাধনের মছান আদর্শের কথা নেহাং



Leave a Comment