আমার জীবন কাহিনী [সংস্করণ-২] | Amar Jiban Kahini [Ed. 2]

বিদ্যালয়ে 4 পুরস্কারও পেয়েছিলাম। পঞ্চম ও যষ্ঠমান উত্তীর্ণ হবার সময় আমি যথাক্রমে চারটাকা৷ ও দশটাকা করে ছাত্রবৃত্তি পাই। অবশ্য এই কৃতিত্বের জন্য আমার প্রতিভা অপেক্ষা সৌভাগ্যই অধিকতর দায়ী । কারণ এই ছাত্রবৃত্তি সকলের জন্য ছিল না। একমাত্র কাঠিয়াওয়াড়ের সোরাঠ বিভাগ থেকে আগত ছাত্রদের মধ্যে AAD ছাত্রের জন্য এই বৃত্তি সংরক্ষিত ছিল । সেকালে চল্লিশ পঞ্চাশ জন ছাত্রের ক্লাসে কঃজনই বা সোরাঠের ছাত্র থাকত ? আমার মনে পড়ে যে নিজের যোগ্যতা সম্বন্ধে আমার খুব একটা উচ্চ ধারণা ছিল না। পুরস্কার বা ছাত্রবৃত্তি পেলে আমি বিস্মিত হতাম। তবে চরিত্রের শুচিতা সম্বন্ধে আমি অত্যন্ত সতর্ক থাকতাম। এবিষয়ে বিন্দুমাত্র ক্রুটি-বিচ্যুতি হলেই আমার চোখে অশ্র্বন্যা বইত। আমি যদি কোন ভুল করতাম বা শিক্ষক মহাশয় যদি কখনও মনে করতেন যে আমি ভুল করেছি এবং তার ফলে যদি আমাকে বকতেন তাহলে আমার ATH তা অসহ্য মনে হত । একবার আমি মার খেয়েছিলাম মনে পড়ে। শাস্তির জন্য আমার মনে তেমন কোন Get হয় নি, দুখ হয়েছিল এই কথা ভেবে যে আমাকে শাস্তি পাবার উপযুক্ত বিবেচনা করা হয়েছে। আমি ভীষণভাবে কেঁদেছিলাম। এ বোধ হয় তখনকার ' Wa যখন আমি প্রথম বা দ্বিতীয় মানের ছাত্র। সপ্তম মানে পড়ার সময় এই জাতীয় আর একটি ঘটনা ঘটে | তখন দোয়াবজী এডুলজী জিমি আমাদের প্রধান শিক্ষক ছিলেন । তিনি অত্যন্ত শঙ্খলাপ্রেমী, Fry পরিচালক এবং উত্তম শিক্ষক হওয়ায় ছাত্র-