জমিদার রবীন্দ্রনাথ | Jamidar Rabindranath

Wet একদা-অধিবাসী, দীর্ঘদিন ঠাকুর-এস্টেটের কর্মচারী, রবীন্দ্র সায্নিধ্যে ধন্য । তিনি জমিদার রবীন্দ্রনাথ সম্পর্কে অনেক তথ্য তার লেখা নানা বইয়ে আমাদের উপহার দিয়েছেন। আমি তার কাছে অনেক ব্যাপারে wl 1 আর wh বিশ্বভারতীর রবীন্দ্রসদনের কাছে | তবে জমিদার হিসাবে রবীন্দ্রনাথের চিঠিপত্র ও হুকুমের ফাইল খোজ করেও আমি পাই fa) কোর্ট অব 'ওয়ার্ডসের দাবি আমলে জমিদারির স্বার্থের প্রতিকূল হবে ভেবে নদীয়ার কালেক্টার সব নথি পুড়িয়ে 'ফেলেন | পাকিস্তান হওয়ার পর পতিসরের কাগজপত্রও বিনষ্ট । আর-একটি ব্যাপার এই প্রসঙ্গে উল্লেখ করা৷ দরকার রবীন্দ্র সাহিত্য এই রচনার সঙ্গে আমি মিশিয়ে দিই নি। রবীন্দ্রনাথের সাহিত্যিক-পরিচয় এখানে ta, জমিদারি পরিচালনা করতে করতে কী কী লিখেছেন বা পদল্মানদী ও সাজাদপুর তাকে কী প্রেরণা দিয়েছে, তার কোনো ব্যাখ্যা দিই নি বা বর্ণনা করি fi সে তো অনেকেরই জানা এবং আমার আলোচনার ক্ষেত্রও তা নয়, আমার সামনে দাড়িয়ে আছেন কবি নয়, কর্মী রবীন্দ্রনাথ | এই প্রসঙ্গে একটি জিনিস লক্ষণীয়। বেশ কিছু বাঙালি বিশ্বাস করেন এবং সাড়ম্বরে প্রচার করেন, রবীন্দ্রনাথ নাকি জমিদার হিসাবে অত্যাচারী ছিলেন, প্রজাদের ভাতে মেরে নিজের পরিবারের ভাঙার ভরাট করেছিলেন | রবীন্দ্রনাথের জমিদারি এলাকায় বসবাসকারী বহু লোকও এই মতে আস্থাবান | তাঁদের বেশির ভাগই হিন্দু fee ঠাকুর-এস্টেটের মুসলমান প্রজাদের ধারণা সম্পূর্ণ বিপরীত । তারা রবীন্দ্রনাথকে BH করতেন, ভালোবাসতেন | রবীন্দ্রনাথকে অত্যাচারী প্রজাপীড়ক বলে চিহ্নিত করার মূলে অবশ্য আছে সেই চিরাচরিত রবীন্দ্রবিদ্বেষ। রবীন্দ্রনাথ যে সাহিত্যে শীতে বা দর্শনচিন্তায় লোকোত্তর প্রতিভা, এই কথাটা দেশে বিদেশে বার বার প্রতিষ্ঠিত হওয়ার পর রবীন্দ্রনিন্দকদের শেষ ভরসা- স্থূল তার জমিদারতনয়ের ভূমিকা। কিন্তু সে অপবাদ যে কত মিথ্যা, ৫