হিমালয় [খণ্ড-৩] | Himalaya [Vol. 3]

বই থেকে নমুনা পাঠ্য (মেশিন অনুবাদিত)

(Click to expand)
সামনে ডানদিকে পুল। এঁ পুল পেরিয়ে ওপারে গিয়ে ডানদিকে কালিম্পঙের পথ আর বাঁদিকে গ্যাংটকের। কিন্তু আপাতত পুল পার হওয়া নিষেধ। কারণ রাজ্যপাল ক্যালিম্পং যাচ্ছেন। তাই পুলের দু-পারেই গাড়ির মিছিল। সকালের চা-সিডঙাড়া বহুক্ষণ হজম হয়ে গিয়েছে। দল বেঁধে নেমে আসি গাড়ি থেকে । চা ও পকোরা খেয়ে আবার উঠে আসি গাড়িতে। রাজ্যপালের পথ চেয়ে বসে থাকি। “আচ্ছা, আপনারা কি সিনিয়লচু অভিযানে যাচ্ছেন ?” তাকিয়ে দেখি সাদা টুপি মাথায় একটি ছিপছিপে তরুণ পথে দাঁড়িয়ে প্রশ্ন করছে। উত্তর দিই, “হ্যা।” ছেলেটি আবার জিজ্ঞেস করে, “আপনারা আজ গ্যাংটকে থাকবেন?” “oT i99 “Seay, আপনাদের সঙ্গে শঙ্কু মহারাজ আছেন কি?” এবারে আমাকে নীরব হতে হয়। মৃদু হেসে হিমাদ্রির দিকে তাকাই। হিমাদ্রিও একটু হাসে। সে বলে, “আপনি যাঁর সঙ্গে কথা বলছেন, তিনিই শঙ্কু মহারাজ” ছেলেটি বলে, “দাদা, আপনার মনে আছে কিনা জানি না। আমার নাম কমল চৌধুরী। আমি আপনার “মধু-বৃন্দাবনে” পড়ে আপনাকে একখানি চিঠি লিখেছিলাম, আপনি উত্তরও দিয়েছিলেন।” কথাটা মনে থাকা সম্ভব নয়, কিন্তু আমি ভাবি অন্য কথা। বন্ধু দীপেন বন্দ্যোপাধ্যায় গ্যাটক বেড়াতে গিয়েছিলেন। আমাদের এই অভিযানের প্রসঙ্গে তিনি একদিন বললেন-_গ্যাংটকে যদি আপনাদের কোনো সাহাযোর দরকার হয় তাহলে টেলিফোনের এস. ডি. ও. এস. এস. সেন এবং হাইকোটের একাউন্ট্যান্ট কমল চৌধুরীকে দুখানি চিঠি লিখুন। ওঁরা নিশ্চয়ই আপনাদের সাহায্য করবেন। আমি চিঠি লিখেছিলাম। মিঃ সেন যথাসময়ে উত্তর দিয়ে সর্বপ্রকার সাহায্যের প্রতিশ্রুতি দিয়েছেন। সেই সঙ্গে জানিয়েছেন তিনি নাকি আমার পরিচিত। কিন্তু কমল চৌধুরী চিঠির উত্তর দেন নি। এই কি সেই কমল চৌধুরী ? ছেলেটিকে জিজ্ঞেস করি, “আপনি গ্যাংটকে থাকেন?” “aCe হ্যা। আমি হাইকোর্টে চাকরি করি।” তাহলে তো আমার অনুমান মিথ্যে নয়। এবারে বলি চিঠির কথা। কমল জানায়, “মা অসুস্থ হয়ে পড়ায় আমি বাড়ি চলে গিয়েছিলাম। বহু চেষ্টা করেও মাকে ধরে রাখতে পারলাম না। শ্রাদ্ধ-শাস্তি মিটে যাবার পরে এই আড়াই মাস পর গ্যাংটকে ফিরছি। আজ্ব গ্যাংটক পৌঁছে বোধ হয় আপনার চিঠি পাবো।” পুলিশের বাশি সরব হয়ে উঠেছে। তার মানে রাজ্যপাল এলেন বোধ হয়। কমল বলে, “দাদা, আপনাদের গাড়িতে অনেক জায়গা, আমি কি বাস থেকে ব্যাগটা নিয়ে এ গাড়িতে চলে আসব ?” “নিশ্চয়ই” অমূল্য বলে, “আপনাকে যে আমাদেরও দরকার ।” কমল ছুটে চলে যায় তার বাসের fers রাজ্যপাল তার দলবল নিয়ে Poy হলেন। সেই সঙ্গে আমাদের পথ মুক্ত হল। গাড়ি ছাড়বার আগেই কমল তার ব্যাগ নিয়ে এসে গেল। ১০



Leave a Comment