বাংলার শ্রমশক্তি | Banglar Shramshakti

বই থেকে নমুনা পাঠ্য (মেশিন অনুবাদিত)

(Click to expand)
দশ পর্যন্ত এতিহাসিকদের দৃষ্টি সেভাবে আকর্ষণ করেনি। প্রথমে অর্থনীতিবিদ, সমাজতাত্ত্তিক ও রাজনৈতিক বিশ্লেষকরাই ১৯২০-র দশক থেকে শমিক চর্চা শুরু করেন।” [সম্পাদককে প্রেরিত লেখকের প্রতিবেদন] মনে রাখতে হবে যে শ্রমচর্চার ইতিহাস লেখার জন্য শুধু প্রখর মন ও সুগভীর গবেষণা থাকলেই হয় না — চাই দেখার একটা দৃষ্টিভলী, গভীর মমতাবোধ আর সচেতন আদর্শ। এটি শুধু শ্রমিকদের সম্বন্ধে স্পর্শকাতরত নয়, শ্রমিক-কৃষক-কারিগর — এক কথায় সমস্ত মেহনতী মানুষদের নিয়ে আলোচনার জন্য প্রয়োজনীয় একটা" সমাজকল্যাণবোধ যাকে বাদ দিয়ে ইতিহাস রচনাব অস্তঃকরণ তৈরী হয় না। এরকম একটা সমাজকল্যাণ আদর্শের দিক থেকে দৃষ্টি নিক্ষেপ করেই শ্রমতন্ত্ব ও শ্রমিক পর্যালোচনা শুরু করেছিলেন এতিহাসিকেরা। অবশ্য মার্কসবাদী এঁতিহাসিক ও সমাজতন্তবিদরা যে MISTS TASH নিয়ে আলোচনা করেছিলেন তা নয়। নির্বাণ বসু লিখলেন ঃ “অনেকদিন পর্যন্ত শ্রমিকরচর্চা সংক্রান্ত অধিকাংশ aes রচিত হয়েছে সর্বভারতীয় ভিত্তিতে। তার ফলে বাংলার শ্রমিক শ্রেণী ও তাদের আন্দোলনের অনুপুঙ্খ বৈশিষ্ট্য এইসব আলোচনায় আদৌ ধরা পড়েনি। তাছাড়া শ্রমিক শ্রেণীর ইতিহাস বলতে অনেকদিন পর্যন্ত বোঝাত সংগঠিত ট্রেড ইউনিয়নের ইতিহাস ও বড় বড় ধর্মঘটের ইতিবৃত্ত। উনিশশো সত্তরের দশকের পর থেকে শ্রমিক ইতিহাস চর্চার ক্ষেত্রে একের পর এক নতুন ধারা আসতে থাকে।” সত্তরের দশক এক সময়ে অতিবাম বিপ্লবী মার্কসবাদীরা "মুক্তির দশক” বলে চিহ্নিত করেছিলেন। এই দশক থেকেই বাংলার রাজনীতি ও সরকার গঠনে নিবিড় বামপন্থী ভাবনা প্রায় প্রাতিষ্ঠানিক রূপ পেতে শুরু করেছিল। ফলে এই সময়েই শ্রমচর্চা ও শ্রমিক বিশ্লেষণ ইতিহাস সাধনার TGS বিষয় হয়ে উঠল! একসঙ্গে সারা ভারতের কথা না বলে নির্দিষ্ট অঞ্চলে নির্দিষ্ট সময়ে নির্দিষ্ট শিল্পের শ্রমিকদের নিয়ে আ'লা শুরু হল। সর্বভারতীয় বিস্তার cre প্রাদেশিক ভিত্তিতে, তারপর তাকে ছেড়ে বিশেষ শিল্পের কোন সংক্ষিপ্ত পর্বের দিকে এবং তারপরে তৃণমূল স্তরের অঞ্চলভিত্তিক, স্থানিক সংগঠন-নির্ভর শিল্পের আলোচনায় বিশেষীকরণের ধারা এগুতে লাগল। সংগঠিত শিল্প শ্রমিকের পাশে আলোচনায় স্থান করে নিল কায়িক শ্রমে নিযুক্ত অন্যান্য শমিক, সরকারি বেসরকারি কর্মচারী এবং এমনকী কেরানী, শিক্ষক, অধ্যাপক শ্রেণীর মানুষজন যাদের এঁতিহাসিকরা ages বা white colour employees and labour বলে উল্লেখ করে থাকেন। আলোচনা যখন সার্বিক হতে শুরু করল তখন তার বিষয়ও গভীরতর হয়ে উঠল। গুপনিবেশিক রাষ্ট্রযন্ত্র-পুঁজিপতি-শ্রমিক এই তিনের মধ্যে যে ত্রিভুজ সম্পর্ক, নারী শ্রমিকদের অবস্থান, তাদের কষ্ট-দুর্ছশা সবই আলোচনার বিষয় হয়ে উঠল। এইসব আলোচনায় কালেব মাত্রায় প্রাক্‌-স্বাধীনতা যুগই বেশি প্রাধান্য পেয়েছে, উত্তর স্বাধীনতা অধ্যায় সে গুরুত্ব



Leave a Comment