চৈত্যচরিতামৃত প্রবেশিকা | Chaitanyacharitamrita Prabeshika

বই থেকে নমুনা পাঠ্য (মেশিন অনুবাদিত)

(Click to expand)
ভ্রমণকালে বৌদ্ধাচার্য, মহাপ্রভুর যুক্তিতর্কে পরাজয় স্বীকার করে বৈষ্ণবসিদ্ধাস্ত গ্রহণ করেছেন-_এই বর্ণনার লামাজিক তাৎপর্য অন্ধাবনযোগ্য। সে সময়ে বাংলা দেশে মুসলমান শাসক। সেদিক থেকে ইসলামধর্ম ছিল রাজধর্ম। মহাপ্রভু ধর্মীয় বিতর্কে সাধারণতঃ যোগ cra নি। কিন্তু তিনি যখন দেখেছেন সমাজের নীচ ee শ্রেণী মুসলমান হয়ে যাচ্ছে, তখন তিনি প্রেমের ধর্ম প্রচারের মধ্য দিয়ে সেই প্রবণতাকে এক হিসাবে রোধ করেছেন। হিন্দু ধর্মকে পুনরুজ্জীবিত করার জন্য চৈতন্যদেবের আবির্ভাবের প্রয়োজন ছিল। একদিকে বাইরের আঘাত থেকে নিজেদের রক্ষা করা অন্যদিকে মৃতপ্রায় অবসন্ন জাতির মধ্যে প্রাণসঞ্চার--এই উভয় ক্ষেত্রেই মহাপ্রভুর বিশিষ্ট ভূমিক৷ স্মরণীয় | মহাপ্রভু কোন গ্রন্থ রচনা করেন নি। তিনি নিজে তার পুত পবিত্র চরিত্রের সাহায্যে আমাদের সামনে একটি আদর্শ উপস্থিত করেছেন। যার ফলে AA নীতি উপদেশ দানের কাজ হয়েছে খুব সহজে এবং WS গতিতে। ব্রাহ্মণ হয়েও বর্ণভেদ প্রথায় তিনি বিশ্বাস করেন fa) “কুষ্ণতজনে নাহি জাতি কুলাদি বিচার 1” এখানে নৈতিক আদর্শের উপরই বেশি জোর দেওয়া হয়েছে। SEMA তথা বামাচারী সন্ন্যাসী যখন মহাপ্রভুর সঙ্গী ব্রাহ্মণ ক্ষষ্ণগাসকে-- “Pet দেখাইয়া তার লোভ জন্মাইল”-_তখন মহাপ্রতু রুদ্রমূতি ধারণ করেন এবং বিপথগামী সঙ্গীকে--“কেশে ধরি বিপ্র joel করিলা গমন ।” মহাপ্রভু মানুষের লোভ ও আসক্তি, অদস্ধবিশ্বাস ও সংকীর্ণতা, ভেদবুদ্ধি ও আত্মচিন্তাকে তীব্র ভাষায় নিন্দা করেছেন। তিনি সেই সঙ্গে কখনও নকোৌতুকে, কখনও Gly ভাষায়, কথনও সরোষে তাদের ভ্রাস্তি অপনোদন করেছেন । বৃন্দাবন ভ্রমণকালে একদিন-_ “লোক কহে FR প্রকট কালিদহের জলে/কালিয় শিরে নৃত্য করে ফণারত্ন জলে ॥” (মধ্য/১৮) মহাপ্রভু শুধু এই জাতীয় অলৌকিক ঘটনা অস্বীকার করেন নি-_তিনি Ol নিয়ে পরিহাস করেছেন। পরদিন জানা গেল রাষ্পরিতে যমুনার জলে নৌকায় আলো cary মাছ ধরা হচ্ছিল । সনাতনের মতো বিজ্ঞ Wee যখন মনে করেছেন দেহত্যাগের মধ্যেই বুঝি ভগবৎলাভ--তথন মহাপ্রভু প্রীতিপূর্ণ ভাষায় বুঝিয়ে বলেন--“সনাতন দেহত্যাগে FE a পাইয়ে/কোটিদেহ ক্ষগেকে তবে ছাড়িতে পারিয়ে ॥” (অন্ত/৪) সমাজজীবনে বিপ্লব ঘটালেও মহাপ্রভু সম্ভবতঃ সামাজিক অস্থিতি কাম্য বিবেচনা করতেন না। সমাজের সুস্থ আদর্শ প্রতিষায় ও রক্ষণে লোকমাধারণের ভূমিকা তিনি জানতেন | ফলে কথনও প্রতিবাদী মনোভঙ্গির পরিচয় দ্বিলেও তাঁর মুখেই শোনা যাবে-“আমি লোকাপেক্ষা কতু না পারি ছাড়িতে ॥” (মধ্য/৭) এই সাধারণ মানের সঙ্গে অস্তরের যোগ ঘটেছিল বলেই-_মহাপ্রতু wy বিশেষ ধর্মনম্প্রদায়ের গুরুরূপে Yas হন নি--সাধারণভাৰে সমগ্র ভারতবাসীর অন্তরে গভীর শ্রদ্ধা ও AfSa আসন লাভ করেছেন।



Leave a Comment