বইয়ের লেখক
বইয়ের আকার
21 MB
মোট পৃষ্ঠা
230
ধরণ
For Complaints/Suggesstions related to this material, please clickHere
বই থেকে নমুনা পাঠ্য (মেশিন অনুবাদিত)
(Click to expand)১০ | কপালকুগুলা নতুন রূপ প্রকরণ সৃজনের ক্ষেত্রে বঞ্কিমচন্দ্র যে অপ্রতিদ্বন্থী শিল্পী, বিষবৃক্ষ উপন্যাসে তা প্রমাণিত
হ"ল। গুঁপন্যাসিক প্রতিভার বিবর্তনে এটি একটি উল্লেখযোগ্য পদক্ষেপ | দাম্পত্য প্রেমকে উজ্জ্বলতর
করে তোলবার প্রয়োজনে হয়ত এই উপন্যাসের পরিকল্পনা বঙ্কিম করেছিলেন। ১৮৭৩ সালে প্রকাশিত ছোটগল্পের ক্ষুদ্র আকৃতিযুক্ত ইন্দিরা বস্কিমচন্দ্র মৃত্যুর এক বৎসর
পূর্বে প্রচুর সংযোজন ও সংস্কার করে একশ” সাতাত্তর পৃষ্ঠার একটি নাতিবৃহৎ উপন্যাসে রূপান্তরিত
BCAA | এখানেও বন্ধিমচন্দ্র কথা-সাহিত্যের নতুন আঙ্গিকবীতি প্রবর্তন করেন। আত্মক্ষথথনের অভিনব
রীতিতে ব্যক্তিচরিত্বের গভীরে অবগাহন করে মণি-মুক্তা আহরণ করেছেন তিনি। বর্ণনারীতি ও
ভাষাভঙ্গী কেবল চিত্তাকর্ষক নয়, শিল্প-গুণান্বিতও বটে। “ইন্দিরা"র মতো অন্য একটি “লঘু-কাহিনী?
বঙ্কিমচন্দ্র লেখেন ১৮৭৪ সালে । গ্রন্থটির নাম যুগলাঙ্গুরীয়। অতীতের প্রেম কাহিনী হলেও ক্ষুদ্র
উপন্যাসের মধ্যে আধুনিক যুক্তিবাদী মনকে প্রাধান্য দেওয়া হয়েছে। রজনী (১৮৭৭) নামক
জন্মাস্ক নারীকে নিয়ে তার শ্রবণেন্দ্রিয়ের ক্রিয়া-প্রতিক্রিয়া ও ag ঘটনার প্রভাব ইত্যাদি বিষয়ে
বস্কিমেব আত্মকথনরীতির অভিনব নৈপুণা প্রকাশ পেয়েছে। ইন্দিরা চরিত্র সমগ্র কাহিনীর বক্তা-_
কিন্তু রজনী উপন্যাসে afer অধিক বাস্তবানুগ পথ ধরে প্রধান চারটি চরিত্রের আত্মকথনের
দ্বারা তাদের অভিজ্ঞতার কথা ব্যক্ত করেছেন। ইন্দিরা ও রজনী--_বস্কিমচন্দ্রের অভিনব রীতির
অপূর্ণাঙ্গ উপন্যাস। উত্তরকালে রবীন্দ্রনাথ, শরৎচন্দ্র, প্রমুখ শিল্পীরা কোন কোন উপন্যাসে এই
রীতি গ্রহণ করেছিলেন। রাধারাণী”তে (১৮৮৬ / ১৮৯৩) বন্কিমচন্দ্র বাস্তব-জ্জীবনের চমৎকার
ছবি এঁকেছেন। যদিও আখ্যানের গতিপথ সহজ-সরল, কিন্তু পরিবেশন গুণে Rew হাস্যরস সুন্দর
শিল্পরূপ লাভ করেছে। এই চারটি ক্ষুদ্র উপন্যাসে বন্কিমচন্দ্র মানবহৃদয়ের চিত্ত-সংঘাত, দ্বিধা-দ্বন্থ,
হাসা-কৌতুক অপূর্ব ব্যঞ্জনায় প্রকাশ করেছেন। বস্কিমচন্দ্রের চন্দ্রশেখর (১৮৭৫) উপন্যাসে দেখা যায় যে, লেখক আবার সেই রোমান্সরাজ্যে
প্রত্যাবর্তন করে আস্তিক স্বস্তি লাভ করছেন। এখানকার পারিবারিক কাহিনী রাজনৈতিক Starrs
সঙ্গে অনেকটাই যুক্ত। অঙ্গবিন্যাসে পরিকল্পনাপ্রসূত সংহতি ও জমাট কাহিনীগ্রন্থন অবশ্যই দৃষ্ট
হবে। মনস্ততন্ত্বের সঙ্গে চমকপ্রদ ঘটনা থাকলেও উপন্যাসের ট্রাজেডি চরিব্রতিত্তিক হয়ে উঠেছে।
প্রতাপ, চন্দ্রশেখর ও শৈবলিনী-__তিন চরিত্রের মনস্তাত্ববিক ক্রিয়া প্রতিক্রিয়াটি শিল্পীর দৃষ্টিতে পূর্ণায়ত
রূপে চিত্রিত। কাহিনীবৃত্তে একাধিক উপকাহিনী যুক্ত হলেও তা সুসংহত। এই উপন্যাসের ইতিহাস
আরও অধিক মাত্রায় জীবনের সঙ্গে সংযুক্ত__অস্ততঃ পূর্ববর্তী উপন্যাসগুলির তুলনায় তো বটেই।
পরিণত শিল্প-সৃষ্টির প্রেরণায় বঙ্কিমচন্দ্রের এটিও একটি উল্লেখযোগ্য পদক্ষেপ। এঁতিহাসিক
উপন্যাস-সৃষ্টির উপযুক্ত পরিপ্রেক্ষিত রচনা হয়েছে চন্দ্রশেখর উপন্যাসে । ইতিহাসের প্রেক্ষাপটে
এখানকার জীবন বহু বিস্তৃত, ট্রাজেডির আর্তনাদ অনেক বেশী aie জীবনের গভীরে প্রোথিত,
শিল্পসিদ্ধি বহুলাংশে SANG, ব্যঞ্জনার গভীরতা অনুভববেদ্য হয়ে উঠেছে। বন্কিমচন্দ্র আবার পূর্ণাঙ্গ সামাজিক উপন্যাস রচনার দিকে মনোনিবেশ করেন। সৃষ্টি
হয়-_কৃষ্ণকান্তের উইল (১৮৭৮)। গ্রন্থটি যে বাংলা সাহিত্যের শ্রেষ্ঠ সামাজিক উপন্যাস একাধিক
পণ্ডিত-সমালোচক সে বিষয়ে নিঃসন্দেহ হয়েছেন। গোবিন্দলাল, ভ্রমব, রোহিলীকেন্দ্রিক কাহিনীবৃত্তে
বস্কিমচন্দ্রের স্বচ্ছ, মননশীল, চিত্তাকর্ষক বিচার-বিশ্লেষণ রীতি প্রকাশ পেয়েছে। ঘটনার প্রধান
অবলম্বন রোহিনীর প্রতি গোবিন্দলালের আসক্তি এবং ভ্রমরের অসুখ। সেই আসক্তির উদ্বোধন
ক্ষেত্র বারুণী পুষ্করিণী। ... যে লালসার উদ্ভব বারুণী পুষ্করিণীর কৃলে সেই লালসার জলাঞ্জলি