দ্বিজেন্দ্রলাল-রচনাসম্ভার | Dwijendralal-rachanasambhar

বই থেকে নমুনা পাঠ্য (মেশিন অনুবাদিত)

(Click to expand)
~~ (১৯১) তদুপরি-_মরণের পাছে কি জগৎ লুক্কায়িত আছে ! এই কৃষ্ণ জলধির পারে কোন্‌ দেশ আছে ! অন্ধকারে আচ্ছন্ন, যে দেশ হতে কেহ ফিরে নাই আর fae cate | Sate না মরিবার একটা কাঁরণ, বোধ হয় আমল কারণ | ছিজেন্দ্রলালের জগৎ খর AAA মধ্যাহু-জগৎ। সেখানে সবই স্পষ্ট, সবই প্রত্যক্ষ, সমস্তই নিকট । মধ্যাহ্ন স্পষ্ট বৃক্ষটির সঙ্গে যে একটুখানি অস্পষ্ট ছায়া লগ্ন থাকে সেটুকুও বুঝি নাই তাঁহার জগতে । তাঁহার জগৎ স্পষ্ট, কাব্যও স্পষ্ট। এবারে বুঝিতে পারা যাইবে কেন তিনি রবীন্দ্রনাথের এক শ্রেণীর কাব্যকে অস্পষ্ট কাব্য অভিহিত করিয়া নিন্দা করিয়াছিলেন। জীবনের অস্পষ্ট দিকটা কখনও তাঁহার কল্পনায় প্রতিভাসিত হয় নাই, বিযয়টাই তাঁহার ধারণার অতীত। ৯ “মন্দ্র"কাব্য প্রকাশিত হইবার বৎসরাধিক কাল পরে ১৯০৩ সনের নভেম্বর মাসে Rasta দেবী লোকান্তর প্রয়াণ করেন । তারপরে বর্তমান প্রবন্ধের অধিকারতুক্ত দুইখানা কাব্য “আলেখ্য” (১৯০৭) ও “ত্রিবেণী” (১৯১২) প্রকাশিত ea “ত্রিবেণী প্রকাশের কয়েক মাস পরেই দ্বিজেন্দ্রলালের মৃত্যু ঘটে | “আলেখ্য” ও “ত্রিেবেণী” কাব্যে প্রতিভার কোন নূতন Ete ঘটে নাই বা কোন নূতন সম্ভাবনা দেখা দেয় নাই--“মন্দ্ু'র পরিণত কাব্যতীতিতে কাব্য দুইট গঠিত। কাজেই বিস্তারিত আলোচনা নিশষ্রয়োজন। কেবল উল্লেখযোগ্য এই যে, পত্নী-বিয়োগের আঘাতে কবি একটু feo হইয়াছেন, জীবনের ALT ASA আর একটু তলাইয়াছেন। “মন্দ্র”র বিস্ময়চমক হয়তো কাব্য দুটির সর্বত্র নাই, কিন্তু এমন কিছু গুরুভার আছে যাহা “মন্ত্র” কাব্যে বিরল | “ae” পরে তাঁহার শিল্পকলার আর পরিণতি ঘটে নাই সত্য, কিন্তু কবির নিজের কিছু পরিণতি ঘটিয়াছে। সেই পরিণতির ফলটুকু পাই কাব্য ছুইটিতে । আরও একটি কথা। “মন্দ্র*র ভাষায় মাঝে মাঝে যে বিকারের আক্ষেপ লক্ষ্য করিয়াছি এখানে তাহা বিরল, চমৎকার why সচেতন প্রয়াসও নাই। সমস্তই কেমন স্থির ধীর গম্ভীর। “মন” কাব্যে দেখি প্রতিভা-স্ফুরণের



Leave a Comment