মোহর | Mohar

বই থেকে নমুনা পাঠ্য (মেশিন অনুবাদিত)

(Click to expand)
পর গারমেন্টের ব্যবসা করছি। তথ্য জোগড়ের কাজটা কীভাবে আরম্ভ করবেন সেটা জানার খুব আগ্রহ হচ্ছে।' প্রবীণের মুখ দেখে কৌতূহলটা কতখানি সরল এবং মারপ্যাচহীন বোঝা গেল না। মোহর তার চোখের দিকে তাকিয়ে বলল, “প্রথমে “শান্তি ভবন”-এর শেষ জীবিত বংশধর হেমনলিনী মল্লিকের সঙ্গে দেখা করে তাঁদের বংশের ইতিহাস শুনব। প্রবীণ রীতিমত হকচকিয়ে যায়, 'হেমনলিনী মল্লিকের কথা কার কাছে শুনেছেন? 'আমার বন্ধু সুদীপ্ত, মানে যে এই ডকুমেন্টারিটা করতে চায় তার BCR!’ “তিনি জানলেন কীভাবে? ‘BAG কাছে শুনে থাকবে। কিংবা কাগজে পাবলিশড কোনও একটা লেখায় ATE থাকতে পারে। আমি এগ্্‌জাক্টলি বলতে পারব না। আসলে ওকে জিজ্ঞেস করিনি।' প্রবীণ চুপ করে থাকে। মোহর এবার বলে, 'যদি বলেন সুদীপ্তকে জিজ্ঞেস করে আপনাকে জানাতে পারি।” প্রবীণ বলল, 'না না, তার দরকার নেই। কিন্তু-_' 'বলুন-_ “'হেমনলিনী দেবী ভীষণ অসুস্থ | শয্যাশায়ীই বলতে পারেন। কথা বলতে ওঁর ভীষণ কষ্ট হয়। এই অবস্থায়- মানে বুঝতেই পারছেন-_” মোহর বলল, “একটানা ওঁকে দিয়ে বকাবো AT | রোজ পনের কুড়ি মিনিট করে বললেই হবে। সময় একটু বেশি লাগবে। তা আর কী করা যাবে।' প্রবীণ নিরুৎসুক সুরে বলল, “ঠিক আছে।' 'আপনাকে অনেকক্ষণ বিরক্ত করলাম। আজ তা হলে যাওয়া যাক। পরশু কখন এলে আপনাদের অসুবিধে হবে না?” বলতে বলতে উঠে দাঁড়ায় মোহর। প্রবীণও উঠে পড়েছিল। বলল, “দুপুরবেলা উনি বিশ্রাম করেন। হয় সকালের দিকে আসুন; ধরুন A সাড়ে AB নাগাদ। নইলে বিকেলে পাঁচটার পর।' 'আচ্ছা-_' দরজার দিকে দু'পা এগিয়ে হঠাৎ কী মনে পড়তে ঘুরে দাড়ায় মোহর | বলে, “ক্ষমা করবেন, একটা ব্যাপার জানতে চাইলে অনধিকার “চর্চা মনে করবেন কিনা বুঝতে পারছি না।' 'কী বলুন তো? ১৬



Leave a Comment