সংগীতময় শ্রীরামকৃষ্ণ | Sangeetmay Sriramkrishna

কন; নচেৎ সর্বদাই BVT পুজাজপাদি কর্ম আর করিতে পারেন না।” অর্থাৎ পূজা-জপ সবই বন্ধ, তবু গান গাওয়ার বাসনা পরিত্যক্ত হয়নি; কারণ, পূজা-জপ-ধ্যান প্রভৃতির চাইতেও, সঙ্গীতই Share কৃষ্ণের জীংনের প্রধান ও শেষ HIM, সেটিও যাতে না হারাতে হয়, তার জন্যই জগন্মাতার দিব্যতম সান্নিধ্যে শাশ্বত প্রার্থনা | চিরস্ুরময়া মহামাতার কাছে গ্রীরামকৃষ্ণের সেই প্রাণভর| আকুতি গান করবো মা তাকে তাই সঙ্গীতরূপা ্রীরামকৃষ্ণে পরিণত করেছিল, যাদও জীবনের শুরু থেকেই গিনি ছিলেন AMSAT, সঙ্গীত- মুখর । এই সঙ্গাতরূপা শপ্রীরামকৃষ্ণই অপরের সঙ্গীতশ্রবণে যেমন আত্মহারা হতেন, তেমন নিজেও স্থরসঙ্গীতের লহরীতে ভাসতে ভাসতে অবশেষে সমাধিসাগরে ডুবে যেতেন। ঙিনি স্বয়ং 'মহাসঙ্গীত'-_-তাই তার সঙ্গাত প্রসঙ্গ করার অধিকার বা সামান্যতম শক্তিও এই লেখকের নেই, য্দি-না তিনি নিজে son করে কিছুট। শক্তি দান করেন। সেই কৃপালন্ধ শক্তি ও TAL ক্ষমা প্রার্থনা করেই সেই মহাতাবময়, মহা- সঙ্গীতময় আঁরামক্ৃষ্ণের সঙ্গীত প্রসঙ্গ যথালন্ভব আলোচিত ara ‘suse FH দেব নিত্যম--এই প্রার্থনাই এই আলোচনার উদ্বোধনা শক্তি । ঠাকুর শ্রীরামকৃষ্ণ মূলতঃ আধ্যাত্মিক সঙ্গীতের গায়ক ছিলেন। আত্মসংক্রান্ত বা পরমেশ্বর বিষয়ক সঙ্গীতকেই প্রধানতঃ আধ্যাত্মিক AMS বলা হয়। এই সঙ্গীত বহিমু'খী বা অস্তমুখা- দু 'রকমেরই হয় , ঠাকুর ছিলেন প্রধানতঃ অস্তমুখী গায়ক । আধ্যাত্মিক সঙ্গীতে দেহতত্ত বিষয়ক গানগুলি সাধারণতঃ বহিমু'খী; কিন্তু চিত্তবিষয়ক গানগুলি AOA | যে গানের মাধ্যমে গায়কের নিজের চিত্তে অনুভূতির we করে, CAS গান শ্রোতার মনেও আলোড়ন জাগায় । অস্তমুখী সঙ্গীতের প্রাণস্পর্শে গায়ক এবং শ্রোতা--উভয়েই অমুভূতিমম্পন্ন এক অবাজ্ময় রাজ্যে বিহার করেন এবং এইখানেই আধ্যাত্মিক সঙ্গাতের সার্থকতা | আধ্যাত্মিক সঙ্গাতে পূর্ণজ্ঞানী আীরামকৃষ্ণ, খোতার মনের গভীরে সুপ্ত আত্মরসকে জাগিয়ে, নিজের ও শ্রোতার মাঝে অস্তনিহিত উপলব্ধির ২