সাহিত্যের সমস্যা | Sahityer Samasya

বই থেকে নমুনা পাঠ্য (মেশিন অনুবাদিত)

(Click to expand)
দেখলে শিল্পের স্বক্ষেত্র বলতে সৌন্দ্যায়ণ ছাড়া অন্য কোন কিছুর প্রতিই বুঝি আজ অঙ্গুলিনির্দেশ করা৷ চলে না। এর পর জ্ঞানের কথা। শিল্প জ্ঞান্মের aM সঞ্চালিত হতে পারে, না-ও হতে পারে। কিন্তু জীবনে জ্ঞানের প্রয়োজন অপরিহার্ধ। শিল্পের লক্ষা সৌন্দর্যমঙ্কান ; জ্ঞানের লক্ষ্য সত্যসন্ধান। বাল্মীকি ব্যাস কালিদাস শেক্মপীয়র cid রবীন্দ্রনাথ প্রমুখ কতিপয় মহাকবির মধ্যে সৌন্দর্য এবং জ্ঞান-সাধন| একীভূত হয়ে গেছে দেখতে পাই, কিন্তু এটি আমাদের উপরস্ভ ate সকল শিল্পীর পক্ষে এ কথা খাটে না। শিল্পের সঙ্গে জ্ঞানের সংযোগের দৃষ্টান্ত বিরল ও দীর্ঘছেদযুক্ত। এমোগ বাস্তব, কিন্তু অবধারিত নয়। অধিকাংশ কাব্য নাটক উপন্যাস ছোটগল্প জ্ঞানবিযুক্ত হয়েও zante calcd দাবিতে আমাদের গ্নোযোগ আকর্ষণ করে। সাহিত্যের Atta স্ঞানগর্ত হলে ভাল কথা, না হলেও ক্ষতি নেই, কিন্তু সৌন্দর্ধের আদর্শ থেকে তার কোন মতেই ভ্রষ্ট হওয়া চলবে alt শিল্পের Stats ( content ) এবং রূপকারুর ( form ) তুল্যমূল্যের প্রশ্নে FATS ক্রমশঃ ভাববস্তুর উপর আধিপত্য বিস্তার করে চলেছে। ভাব অপেক্ষা ভাবের বাস্তবায়িতকরণের ( externalization ) সমস্য 'নমেই শিল্পের প্রধান সমস্ত হয়ে উঠছে। কিন্ত জীবনের ক্ষেত্র আলাদা। সেখানেজ্ঞানের দাবি অপ্রতিরোধ্য। জ্ঞানের দাবি অপ্রতিরোধ্য এই কারণে যে, জ্ঞান ছাড়া সত্য পথের সম্ধান পাওয়া যায় না। জীবনের পথে চলতে গিয়ে কোন্‌ পথ গ্রহণীয়, কোন্‌ পথ বর্জনীয়, দুঃখ-কষ্ট জয় করার কী উপায়, স্থথের অবস্থা প্রাপ্ত হতে হলে "আমাদের কী করা দারকার-_-এ-সব প্রশ্নের যথার্থ সমাধান একমাত্র জ্ঞানের আলোকেই হওয়া সম্ভব। নীতি বা ধ্্মের বোধ মাহযের মধ্যে সহজাত, এই বোধ আছে বলেই মনুষ্যজন্মের সার্থকতা | কিন্তু fat বা দুঃখ-জয়ের বাস্তব কৌশল উদ্ভাবনায় এই বোধ থাকাই 4



Leave a Comment