হারানো ডায়েরি খোঁজে | Harano Diaryr Khonje

বই থেকে নমুনা পাঠ্য (মেশিন অনুবাদিত)

(Click to expand)
ডাকছে | বলাই শাসমল ৷ “এদিকে 1” বলাই শাসমল এগিয়ে এসে ডাকলেন, “আসুন” | ভিক্টর বলল, “আপনি আছেন?” “আপনার জন্যে দাঁড়িয়ে আছি । এদিকে আসুন | বাড়ির সামনের দিকটা রেশন দোকান, গোডাউন, প্লাস্টিক কারখানা | বাড়ির কেউ এদিকে থাকে না । পেছন. দিকে থাকে | আসুন 1” শাসমল পথ দেখিয়ে বাড়ির পেছনের দিকটায় নিয়ে গেলেন | ভিক্টর দেখল, এপাশটা অন্যরকম | পুরনো, ভাঙাচোরা চেহারা হলেও অনেক পরিষ্কার । মানুষজন থাকে বলেই মনে হয় । সামনের বড় বারান্দায় কাঠের জাফরি, আলো জ্বলছে | মাঠের মতন জায়গাটায় কিছু ফুলগাছের ঝোপ | অনেকটা তফাতে লোহার জাল দিয়ে ঘেরা গোলমতন একটা জায়গা | ভিক্টর বলল, “ওটা কী 2” “ওটা | ওটা আমাদের জন্ত-জানোয়ার রাখার জায়গা | রাস্তিরে ভাল বুঝতে পারবেন না । দিনের বেলায় দেখবেন ৷ দেখার মতন এখন কিছু পাবেন না | গোটা চারেক হরিণ, আধ ডজন বাঁদর, কিছু পাখি, দু” জোড়া ময়ূর, আর একটা ভাল্লুক আছে. | ভাল্লুকটা বুড়ো | মরার সময় হয়েছে | হাতি আর নেই | বছর-দুই আগে একটা উট জোটানো গিয়েছিল । বিক্রি হয়ে গিয়েছে ।” ভিক্টর স্কুটার রাখল একপাশে | বাড়িটা দোতলা । পুরনো আমলের বলে ছাদ এত উঁচু যে, মনে হয়, তিনতলার সমান বাড়ি | শাসমল ভিক্টরকে নিয়ে সিড়ি দিযে কাঠের জাফরি-ঘেরা বারান্দা টপকাল ৷ বারান্দার মধ্যেই বসার জায়গা | বাতি জ্বলছিল | বেতের সোফাসেটি, পায়ের তলায় বিয়ে বাড়ির শতরঞ্চির মতন এক বড় শতরঞ্চি | পাতাবাহারের গোটা-দুয়েক টব 1 দেওয়ালে এক জোড়া হরিণের শিং ঝুলছে । শাসমল বললেন,“বসুন ৷ আমি PATH ডেকে আনি 1” খ্‌৫



Leave a Comment