কলকাতার কাছেই [সংস্করণ-১] | Kolkatar Kachei [Ed. 1st]

বই থেকে নমুনা পাঠ্য (মেশিন অনুবাদিত)

(Click to expand)
১৩ কলকাতার কাছেই নরেন খাটে বসে পা দোলাতে দোলাতে এক হাতের একটা নখ কাটছিল দীত'' দিয়ে, সে জবাব দিতে পারেনি ভালরকম। শুধু প্রশ্ন করেছিল, “তবে 1' “এই ত HVAT থেকে এইখানে | তুমি যাবে রোজ cata’ া1(--তোর মা যদি নেমন্তন্ন না করে? তখন বিনা মিমন্ত্রণে শ্বশুরবাড়ী যাওয়ার কথা কেউ ভাবতেও পারত না। “ফের্‌ তোর মা ? বলে দিয়েছি না তিনি তোমারও মা, শুধু মা,বলবে ।” “ধোযষ্-_লজ্জা করে ।” প্রসঙ্গটা HVA চাপা পড়লেও শ্যামা ভোলেনি। ওর যমজবোন উমাকে দিয়ে মার কাছে কথাট। পাড়িয়েছিল। মা-ও অবিবেচক নন। তিমি প্রথম প্রথম একটু ঘন ঘনই নিমন্ত্রণ করতে লাগলেন ৷ কিন্তু তার ফলে জামাইয়ের স্বভাব আর চাপা রইল না। প্রেম সম্ভাযণের উষ্ণতা ও উগ্রতা শুধু পাশের ঘর কেন, মধ্যে মধ্যে গোটা বাড়ীটাই কাপিয়ে তোলে ৷ বিশেষ ক'রে যেদিন গালে পাঁচ আঙুলের দাগস্থদ্ধ মেয়ে ভোরবেলা বেরিয়ে এল সেদিন আর ওর মা রাসমণি দ্থির থাকতে পারলেন না। তিমি খুব রামভারি মানুষ” ছিলেন, একা মেয়েছেলে তিমটি বালিকা নিয়ে বাস.করলেও কেউ একটা কথা বলতে সাহস পেত না। তিমি সোজা ঘরে ঢুকে তর্জনী দিয়ে সদর Waal দেখিয়ে জামাইকে বললেন, যাও, আভি নেকাল যাও । আর কোন দিন এ দরজায় ঢুকো.না। মেয়েও " আর আমি পাঠাবো না। বুঝবো মেয়ে আমার বিধবা হয়েছে--যাও বলছি ।” ওঁর রণরঙ্গিণী মুতি cot জামাই নরেন ভয় পেয়ে গেল । সে আম্তা আম্তা ক'রে বললে, 'মাইরি মা, এই আপনার দ্রিব্যি, হঠাৎ রাগের মাথায়-_ মানে মেয়েও আপনার বড় ট্যাটা। এই আপনার পায়ে ধরছি আর কথনও-_ সে CER হয়ে পায়ে ধরতে যেতেই রাসমণি দুপা পেছিয়ে গিয়ে আরও কঠোরস্বরে বললেন, 'ঘাও-! কোন কথা শুনতে চাই না। আভি নেকাল্‌ যাও-_ অগত্যা এক পা এক পা ক'রে সেদিন নরেনকে বেরিয়ে যেতেই হয়েছিল। শ্যামা কিন্তু এ ঘটনায় অত্যন্ত মনমরা হয়ে পড়ল। বিশেষ ক'রে কথাটা চাপা রইল al) এ মিয়ে যেমন আলোচন! চলতে লাগল পাড়া-ঘরে, তেমনি দলে দলে দুঃখ ও সমবেদনা জানাবার লোকেরও অভাব রইল না। স্বামী ঠিক কি বস্তু বা তবিষ্যৎ জীবনে তার কি হতে পারে এ ACH স্বচ্ছ কোন ধারণ! না থাকলেও শ্যামা বুঝতে পারলে তার মস্ত বড় একটা সর্বনাশ হ'তে চলেছে। সে রীতিমত কানরাকাটি



Leave a Comment