আমার ভ্ৰমণ মর্ত্যধামে | Amar Bhraman Martyadhame

বই থেকে নমুনা পাঠ্য (মেশিন অনুবাদিত)

(Click to expand)
তিন কোন কোন নতুন শহরে এসে পৌছুবার সময় মনে হয় কেউ আমার জন্য এয়ারপোরটে দীড়িয়ে থাকবে। ঈষৎ ক্লান্ত রুক্ষ মুখে একটু এদিক ওদিক তাকাতেই দেখতে পাবে৷ কেউ আমার জন্য হাতছানি দিচ্ছে। মুহূর্তে কাস্টমসের সামনে দাড়ানো বিরক্তি melee হয়ে যাবে । RAST এই আশা era আমি কারুক্কে চিনি না। এখানে কোথাও আমার কোনো হোমিওপ্যাথিক সম্পর্কের আত্মীয়-বান্ধব আছে বলেও শুনিনি। তা ছাড়া সেদিন জুরিখে:' আমার পৌঁছবার কথা আমি নিজে ছাড়া আর কেউ জানে না। তবু যুক্তিহীনভাবে আকাঙ্খ। করছিলুম, কেউ আমার জন্য দাড়িয়ে থাকবে এয়ারপোর্টে । এয়ারপোরট পেরিয়ে যখন আসছি, দেখি দূবে দাঁড়িয়ে এক বাঙালী ভদ্রমহিলা হলুদ রঙের শাড়ি-পরা, পাশে একটি দেবকান্তি শিশু এবং হ্যানডলুমের শারট পর৷ এক ভদ্রলোক-_আগত যাত্রীদের দিকে দেখছেন | হয়তো Gai আমারই জন্য দাড়িয়ে আছেন, হয়তো৷ আমার কোনে ap কিংবা! বৌদির ননদ হঠাৎ এখানে এসেছেন আমি জানতুম না, কী করে ওঁরা আমার আসার খবর পেলেন ইত্যাদি এসব ভেবে লাভ নেই, নিশ্চয়ই Sat আমারই জন্য দাড়িয়ে আছেন ৷ সারাক্ষণ ধরে বুক চাপা মন খারাপ, কোনো কারণ নেই তবু মন খারাপ, এক একটা নতুন শহর দেখবার আগেই একটা চমৎকার উত্তেঙ্না থাকে বুকের মধ্যে, আবার কোনো কোনো নতুন শহরে আসবার আগে মনে হয়- এই সম্পুর্ণ নতুন জায়গায় আমার সম্পূর্ণ একাকীত্ব হয়তো! এক এক সময় BAM হয়ে উঠবে । মানুষের সঙ্গে পরিচয়ের একটা BES ব্যাপার আছে- অনেক সময় একা একা রাস্তা দিয়ে হাঁটার সময়ও নিজ্গেকে একা মনে হয় না, কিন্তু HANS নতুন মানুষের সঙ্গে পরিচয় হতে থাকলে, নিজের একাকীত্ব হঠাৎ বুক ফুঁড়ে বেরিয়ে আসে, তখন ইচ্ছে হয়, হঠাৎ কেট পিছন থেকে atta কাধে চাপড় দিয়ে বলুক, আরেঃ তুই এখানে | ১৮



Leave a Comment