তান্ত্রিক সাধনা ও সিদ্ধান্ত [খণ্ড-২] [সংস্করণ-১] | Tantrik Sadhana O Siddhanta [Vol. 2nd] [Ed. 1st]

বই থেকে নমুনা পাঠ্য (মেশিন অনুবাদিত)

(Click to expand)
বৌদ্ধ সংপ্রদায়ে অধ্যাত্ম-জীবনের আদর্শ (ভারতীয় সংস্কৃতির পরিপ্রেক্ষিতে ) (ক) সাধন জীবন বিষয়ে দুইটি প্রাচীনমত- আদর্শগত ভেদ- নির্বাণ ও বৃদ্ধত্ব। হিন্দু সংস্কৃতির ন্যায় বৌদ্ধ সংস্কৃতিতেওপ্রাচীনকাল হইতেই আধ্যাত্মিক জীবনের ধার সম্বন্ধে সাধারণতঃ দুইটি আদর্শ পরিলক্ষিত হইত। .ছুইটিই ছিল জীবের আত্যস্তিক দুখখ-নিবত্তি--একটি ছিল ব্যত্তিগত দুখ-নিবৃত্তির আর্শ এবং অপরটি ছিল সামুহিক দুঃখ-নিবৃত্তির আদর্শ। উভয় আদর্শের অন্তরালে যোগসুত্রও ছিল SAAS | SHARC অবান্তর core বহু ছিল | দুঃখের মূল কারণ অজ্ঞান এবং অজ্ঞানের fase জ্ঞান, এ বিষয়ে বিশেষ মতভেদ ছিল না। তবে এই অজ্ঞান ও জ্ঞানের স্বরূপ ও প্রকারভেদ সম্বন্ধে ঢৃষ্টিভেদ লক্ষিত হইত। যাহার৷ নিজের ব্যক্তিগত দছুঃখ-নিবৃত্তিকে লক্ষ্য করিয়| জীবনের পথে অগ্রসর হইতেন, তাহাদিগের অব্যবহিত উদ্দেশ্য ছিল ব্যষ্টি-নির্বাণ, কিন্তু অন্যধারার আদর্শ ছিল নিজে সকল প্রকার দুঃখ অঙ্গীকার করিয়াও অন্তযের দুঃখ অপসারণ করিবার আপ্রাণ চেষ্টা । তাহারা যথাসম্ভব সামুহিক বা সমষ্টিগত ছুঃখ-নিবুত্তিকে আধ্যাত্মিক জীবনের প্রকৃত উদ্দেশ্য মনে করিতেন। প্রথম আদর্শণট ছিল ছহীনযানী বৌদ্ধশ্রাবকের, কিন্তু দ্বিতীয়টি ছিল মহাযানী বোধিসত্ববের। অর্থাৎ হীনযানী চাহিতেন মিজের fasts, মহাযানী চাহিতেন সকলের নির্বাণ এবং তাহার অনুষঙ্গে বোধিসত্তব- জীবনের মধ্য দিয়া বুদ্ধত্বলাভ। প্রথম পথে একান্তিক বাসনামিবৃত্তি আবশ্যক হয়। কিন্তু দ্বিতীয় পথে বাসনার শোধনপূর্বক শুদ্ধ বাসনার অনুসরণ আবশ্যক ছয়, যাহার প্রভাবে দেহসশুদ্ধি ও বিশ্বকল্যাণ সম্পাদন সম্ভবপর হয় । প্রথম দৃষ্টিতে অজ্ঞান মাত্রই ক্লিফ ও হেয়, কিন্তু দ্বিতীয় pecs অক্লিষ্ট অজ্ঞানও স্বীকার কর! হয়, যাহা HS অজ্ঞানের ব্যায় হেয় নহে। অবশ্য চরমন্থিতিতে ইহা থাকে না সত্য: কিন্তু সাধারণ মধ্যাবস্থায় অর্থাৎ বোধিসত্ব জীবনে ইহার সার্থকতা আছে। এই অজ্ঞানকে সেবাধর্মের প্রেরণার উৎসরপে গণনা করা হয়। করুণাতত্্বের সহিত ইহার গাঢ় AVG আছে, ইহ! আমরা ক্রমশঃ বুঝিতে পারিব। এই প্রদঙ্গে ইহাও বল| আবশ্যক যে হীনযান হইতে মহাযানের আদর্শের 8 তাষ্তিক atral ও সিদ্ধান্ত



Leave a Comment