বাঁশের কেল্লা [সংস্করণ-৪] | Basher Kella [Ed.4th]

বই থেকে নমুনা পাঠ্য (মেশিন অনুবাদিত)

(Click to expand)
কেল্লার প্রাচীরে কতকগুলো যে গোড়ার বাশ পৌতা ছিল, তাই থেকে নূতন নুতন বীশ জন্মেছে শতাব্দবীকাল ধরে। SATS বাশবন এখন এই জায়গায়। ঠাকুরের অসমাপ্ত মন্দিরের কিন্তু এতটুকু চিহ্ন নেই বাশবনে অথবা গ্রামের অন্ত কোথাও। নাঁটার ঝোপে আচ্ছন্ন ইটের স্ত প-_মন্দির নয়, সাহেবপাড়া @ সামনে--নীলকুঠির ফটক ছিল ওটা। Fikes বা ব্যাপার “-আমার ঠাকুরমা! নূতন বউ হয়ে এলেন, তখন হেলি সাহেবের দাপটে ইতর-ভদ্র সকলে তটস্থ। তারপর কোথা দিয়ে কি হয়ে গেল। হেলি বলে ময়, সব সাহেবকে ক্রমশ বিদায় নিতে হয়েছে জাহাজ তভাসিয়ে। নীলকর সাহেবদের উড়িয়ে দেবার উপায় নেই, কিন্তু বাশের কেল্লার কথায় প্রবীণজনেরা] ঘাড় নেড়ে বলেন, গাজাথুরি গল্প-_-এই কি হতে পারে, কোম্পানির বিরুদ্ধে বাশ আর ইটের টুকরায় লড়াই ? সামান্য একটু গ্রাম্য ঘটনা লোকের মুখে মুখে এই asadi দাড়িয়ে গেছে। আচ্ছা নিশিকান্ত, রামজয় ঠাকুরের কথা এতই কি অবিশ্বাস্ত পরবর্তী ঘটনাগুলোর তুলনায়? ভয়রামপুরের এক এক ফোটা ছেলে-_আমাদের কাঙ্-বাস্নু অবধি কি তাজ্জব দেখিয়ে গেল! পুরানো কাহিনী আমিও হয়তো বিশ্বাস করতাম না পরবর্তা ব্যাপারগুলো স্বচক্ষে না দেখলে | প্রবীণেরা যা-ই বলুন, ঠাকুরমার মুখে শোনা প্রতিটি কথা আমার শিশু মনে শেখে গিয়েছিল । রামজয় ঠাকুরের মন্দিরের ইট রয়েছে নিশ্চয় বাশবনে কোনখানে চাপা পড়ে, সেই সব মড়ার হাড়-পাজরা ধূলে হয়ে ৰাতাসে উড়ে মিশে আছে মাটির সঙ্গে । অহরহ বাশবনে কটর-কট আওয়াজ ওঠে--ছেলেবেলা আমার মনে হত, রামজয় ঠাকুরের রক্তাক্ত সেই শিষ্য-প্রশিষ্যের৷ বাশের আগায় আগায় পা ফেলে AD মার্গে চলাচল করছেন। 4



Leave a Comment