প্রশাসনের অন্দরমহল - বাংলাদেশ | Prashasaner Andarmahal - Bangladesh

বই থেকে নমুনা পাঠ্য (মেশিন অনুবাদিত)

(Click to expand)
৬ প্রশাসনের অন্দরমহল : বাংলাদেশ দিক থেকে পাকিস্তানের ছুটি ভিন্ন অঞ্চলের রাজনৈতিক ও অর্থ নৈতিক উন্নয়নের সমন্বয়ের অস্ত প্রয়োজন ছিল অতিরিক্ত সতর্কতা ও দুরদর্শিতার। সঠিকভাবে রাজনৈতিক উন্নয়নে ব্যর্থ হওয়ার সিংহভাগ দায়িত্ব রাজনীতিবিদদের | সঙ্গে সঙ্গে এ কথাও বলার অপেক্ষা রাখে না যে ১৯৪৭ থেকে ১৯৭১ সাল পর্যন্ত পাকিস্তানের আমলাতন্ত্র (যার অধিকাংশ ক্ষমতাবান সদস্যই ছিল অবাঁঙডালী ) বিভিন্ন প্রতিবন্ধকতা সৃষ্টি করে এ উন্নয়ন ব্যাহত করেছে। এসব ব্যবস্থা (যেমন, সাধারণ নির্বাচন অনুষ্ঠানে অরাজী, আমলাতন্ত্রের পক্ষে গ্রহনীয় নয় এমন নির্বাচনী রায় প্রত্যাখ্যান) জনপ্রিয় দায়িত্ববান রাজনীতিবিদ, দল এবং ইণ্টারেস্ট এপ সুষ্টিতে বাধার সৃষ্টি করেছে। অস্তিমে, রাজনৈতিক স্ট্রাকচারের কার্যকলাপ উৎখাতে পাকিস্তানে প্রশাসনিক স্ট্রাকচারের জয় সত্বেও, আমলাতান্ত্রিক আধিপত্যে রাজনৈতিক ব্যবস্থা ১৯৭১ সালের মধ্যে এমন অস্থিতিশীলতার স্থষ্টি করল যে, শাসক এলিটর!| দেখল তারা একটি কেন্দ্রীয় মূল্যবোধ _ জাতীয় এঁক্য _ বিনষ্ট করে ফেলেছে। কেন এবং কিভাবে পাকিস্তানের আমলাতন্ত্র নিজেদের ভূমিকা অতিরঞ্জিত করে রাজনৈতিক উন্নয়ন বিনষ্ট করেছে নীচে তা দেখানোর চেষ্টা করা হয়েছে। এটা আরো তুলে ধরে কী তাবে আমলাতান্ত্রিক অলিগাকি শিল্পপতি এবং “বিদেশী মিত্রের” সাহায্যে বিলাসবছল জীবনযাপন করেছে যে সময় দেশের অধিকাংশ লোক বসবাস করেছে দারিদ্র্যসীমার নীচে । পাকিস্তান ভেঙে বাংলাদেশ হয়েছে কিন্তু যারা প্রশাসনে গত একদশক ধরে নেতৃত্ব দিয়েছেন বা দিচ্ছেন তারা সেই পাকিস্তানী আমলা- তন্ত্রেরই অংশ । মুক্তি যুদ্ধ বাংলাদেশের জনগণকে স্বাধীনতা দিয়েছে কিন্তু আনতে পারেনি সামাজিক পরিবর্তন । ফলে, আমলাদের (বা এলিটদের ) মনোভঙ্গীরও বদল হয়নি | যে কারণে, গত এক দশক ধরে বাংলাদেশের ইতিহাসে ( প্রশাসনে ) সে একই ধারা পরিলক্ষিত হচ্ছে । পাকিস্তানের প্রথম গভর্নর জেনারেল মোহাম্মদ আলী জিন্নাহ এবং প্রধানমন্ত্রী লিয়াকত আলী থান ছিলেন বুদ্ধিমান রাজনীতিবিদ কিন্তু দুজনেই 'নির্ভরশীল ছিলেন আমলাদের et’? আইয়ুব খান তার আত্মজীবনীতে উল্লেখ করেছেন, লিয়াকত আলী থানের ওপর চৌধুরী মোহাম্মদ আলীর “প্রভাব ছিল অত্যন্ত বেশী' [ভারতীয় অডিট arte যকাউণ্টস সাভিসের একজন কৃতী সদস্য চৌধুরী মোহাম্মদ আলী পাকিস্তান সরকারের সেক্রেটারি জেনারেল ছিলেন চার বছর ] । আইয়ূব খান আরো লিখেছেন, 'অনেক সময় আমার মনে হয়েছে তিনি [ লিয়াকত ] যেন আনার ওপর বেশী নির্ভর waren?’ [ আইয়ুব খান ছিলেন তখন পাকিস্তান



Leave a Comment