জোড়া ভাদুড়ি | Jora Bhaduri

বই থেকে নমুনা পাঠ্য (মেশিন অনুবাদিত)

(Click to expand)
বিমলভূযণ একটা ছাপানো কার্ড বার করে ভাদুড়িমশাইয়ের হাতে ধরিয়ে দিয়ে বললেন, “ঠিকানা এতেই আছে। তবে কিনা দরকার হবে না। চন্নননগরে গিয়ে (যে কাউকে আমার নাম বললেই রাস্তা দেখিয়ে দেবে।” ভাদুড়িমশাইয়ের হাত থকে নিজের ছড়িখানা ফেরত নিয়ে, নমস্কার করে ভদ্রলোক বেরিয়ে যাচ্ছিলেন। পেছন থেকে ভাদুড়িমশাই বললেন, “ও হ্যা, একটা কথা ছিল।” ঘুরে দাঁড়িয়ে ভদ্রলোক বললেন, “বলুন ।” “আপনি কলপ (দেওয়া বন্ধ করলেন কেন?” এতক্ষণে হাসলেন বিমলভূষণ। বললেন, “চামড়ায় একটা র্যাশ বেরোচ্ছিল। ডাক্তারের তআযাডভাইসে Th করেছি।” Low বিমলভূযণকে লিফ্‌ট পর্যন্ত এগিয়ে দিতে গিয়েছিল কৌশিক। ফিরে এসে বলল, “বাবা রে বাবা! সোনা নয়, ণপো নয়, হিরে! তাও আবার একটা নয়, একজোড়া! দাম কত হবে, মামাবাবু ?” ভাদুড়িমশাই বললেন, “তা কী করে বলব? কত ক্যারাট, তা-ই তো জানি al তবে স্থ্যা, যদি ইন্ডাস্ট্রিয়াল হিরে হয় তো খুব বেশি দাম না-হওয়াই wea” ভমি বললুম, “আপনি তা হলে কালই ওখানে যাচ্ছেন?” “যাওয়াই উচিত।” অরুণ সান্যাল বললেন, “গাড়িতে করে গেলে চন্দননগরে পৌছতে কতক্ষণই বা লাগবে।” কৌশিক বলল, “মেরেকেটে ঘণ্টা (দেড়েক। অবিশ্যি যদি জি.টি. রোডে জ্যাম না থাকে। যাও মামাবাবু, ঘুরেই এসো।” ভাদুড়িমশাই বললেন, “আর তৃই এখানে বসে ছুঁটি কাটাবি আর মায়ের রান্না করা ভালমন্দ খাবি, কেমন?” “ও-কতা কইবেন না, GPO কইবেন না,” সদানন্দবাবু বললেন, “খাওয়ার কতাই যদি বলেন, তো আমি বলব, খাওয়ার জিনিস চন্নননগরেও কিছু কম নেই। সুজ্যি ময়রার জলভরা তালশাসের নাম শুনেচেন?” অরুণ সান্যাল বললেন, “সেটা আবার কী বস্তু?” “সন্দেশ | বাইরে Bel, ভেতরে পিওর নলেন গুড়। অবিশ্যি এখন চত্তির মাস, নলেন গুড়ের টাইম নয়, তাই গুড়ের বদলে ক্ষীর দেবে। পাতলা ক্ষীর।” “CATS খুব ভাল?” শুনে এমনভাবে সদানন্দবাবু অরুণ সান্যালের দিকে তাকালেন যে, তাতেই বোঝা গেল, এর চেয়ে হাস্যকর প্রশ্ন তিনি জীবনে কখনও শোনেননি। বললেন, “ভাল কী বলচেন মশাই, সে তো দেবভোগ্য জিনিস। একবার যদি খেয়েচেন” তো বাদবাকি জীবন তার CHAM আপনার YOR লেগে থাকবে।” ১৮



Leave a Comment