পথের বন্ধু | Pather Bandhu

বই থেকে নমুনা পাঠ্য (মেশিন অনুবাদিত)

(Click to expand)
১৬ পথের বন্ধ গণ্যমান্য সামান্য, ইংরেজ, ভারতীয়, পাশি, ইহুদী কেউ যেন আর বাকী রইল না। খেলার পর্যায়ে যথাসময়ে cans আঙ্গিনায় এসে দাড়াল, এবং কানপুরের সেই রাতের মত নিজের সোনার পেটিগুলো মাথার উপর তুলে ধরে সে ঢালাও চ্যালেঞ্জ দিলে । কিন্তু কলকাতায় তার ভুবনজোড়! থ্যাতিটা অবিদিত ছিল a | যুদ্ধের আহ্বানে সাড়া! দেওয়া দূরে থাক, কেউ কোথাও একটা টু শব্দও করলে না। Boas রেমার্ক বাধ্য হয়ে গার্প্যণ্ডের মঙ্গে লোক-দেখানো যুদ্ধ করলে । তারপরেই করতালির তুফানের মাঝে সঞ্জীব এসে আঙ্গিনার মাঝে দাড়িয়ে মাথা নুইয়ে মুইয়ে জনতাকে অভিবাদন করলে | রেমার্ক তার হয়ে গম্ভীর স্বরে চ্যালেঞ্জ দিলে। খানিকক্ষণ বিরাট তাবুটা থমথমে হয়ে রইল। তারপর একটি হৃফ্টপুষ্ট ফিরিঙ্গী যুবক আঙ্গিনাীর ভেতর লাফিয়ে এসে আহ্বানটা স্বীকার করলে। কলকাতার ফিরিঙ্ী সমাজে ও কেল্লার গোরার দলে মুষ্টিযোদ্ধার অভাব ছিল না। যুদ্ধ আরম্ভ হতেই সঞ্জীব ক্রমাগত ধাপ্পার চাল দিয়ে নবাগতের বুদ্ধি পরীক্ষা করতে লাগল। প্রথম পাকটায় তারা৷ কেউ কাউকে ছুঁলেও না। প্রতিপক্ষকে বুঝে নিয়ে দ্বিতীয় পাকের গোড়াতেই সঞ্জীব তাকে সিংহবিক্রমে আক্রমণ করলে । চকিতে তার দক্ষিণ মুষ্টি নবাগতের দুই বাহুর ফাক দিয়ে সজোরে গিয়ে তার চিবুকে আঘাত করলে। পায়ের আডুলের ওপর ভর দিয়ে সঞ্জীব নিজের দেহের সব ভারটা যেন সেই প্রচণ্ড ঘুষিটায় যোগ করে দিলে | তার প্রতিপক্ষ চোখে সরষে ফুল দেখে গোটা কয়েক পাক ধেয়ে সশব্দে ধরাশায়ী হল । অবশেষে তার সাহায্যকারীরা তাকে তুলে মিয়ে গেল |



Leave a Comment