অদৃশ্য মৃত্যুর ছক | Adrishya Mrityur Chhak

বই থেকে নমুনা পাঠ্য (মেশিন অনুবাদিত)

(Click to expand)
১৬ অদৃশ্য মৃত্যুর ছক ছিল, কাছে এলেই বাবা মজা করে বলত, কই আজ নমো করলে না! আসলে বাড়িটার নাম ছিল “শেষ airy’) এখনও মনে আছে।' “প্রণাম না, নমস্কার, 'শেষ নমস্কার'। এক বিখ্যাত বাংলা উপন্যাসের নামে নাম। আর ‘fee’ কথাটাও ঠিক না, 'আছে”। আপনি যেদিকে যাচ্ছিলেন, আরও মিনিট পাঁচেক হইটলেই দেখতে পাবেন একটা জরাজীর্ণ দোতলা বাড়ি এখনও দাঁড়িয়ে আছে, নাম “শেষ নমস্কার'। এরকম নাম কেন জানেন? ওটাই তখন ছিল এ-রাস্তার শেষ বাড়ি, তারপর জলাজঙ্গল ফসলের CS)’ অতনু খুশি হল, লোকটি কত সহজেই লাইনে চলে এসেছে। এবার আর এক ধাপ এগোতে হবে। কয়েক সেকেন্ড কপালে হাত রেখে চোখ বন্ধ করে বসে থেকে হঠাৎ আবেগ-কাপা গলায় চেচিয়ে উঠল, “দারুণ, মশাই, দারুণ। আপনি আমার চোখ খুলে দিয়েছেন। আমি এবার দেখতে পাচ্ছি, আপনার মেমারির CRM লেগে আমার ছেলেবেলার আরও কিছু কথা মনে পড়ে যাচ্ছে। ই্যা-হ্যা, আমার যেন মনে হচ্ছে, ওই পুরনো বাড়িটাতেই আমরা যেতাম। ওখানে “বাড়িটা পুরনো ছিল না, তখনকার হাল ফ্যাশানের, আনকোরা নতুন” অতনু TAGS সামলে নিয়ে বলল, “তা হবে, সেটা মনে পড়ছে না, তবে ওখানে বোধহয় বাবার এক বন্ধু কিংবা পরিচিত কেউ থাকতেন। আমরাও বোধহয কাছেভিতেই কোথাও থাকতাম। তাই বাবার হাত ধরে প্রায়ই....ওহো, মনে পড়েছে, ভদ্রলোকের নাম ছিল গঙ্গুপ্রসাদ না মঞ্জুপ্রসাদ কি যেন! চেহারাটা ধোয়ামোছা, কোনও ছবি নেই। তবে বেঁচে থাকলে আজ তার বয়স হয়েছে। চেনেন কাউকে?” এক দমে কথাগুলো বলে নিয়ে অতনু তাকাল ওঁর মুখের দিকে। এক হাতের মুঠোয় সিগারেট, দাতে অন্য হাতের নখ কাটতে কাটতে লোকটি কেমন HR চোখে অতনুর মুখের দিকে তাকিয়ে ছিল। অন্যমনস্ক, তাও হতে পারে। হাতের মুঠোয় সশব্দে একটা কলকে-টান চড়িয়ে TAM ছাড়তে ছাড়তে মাথা নাড়ছিল লোকটি। একটু থেমে থেকে বলল, “না, আপনি ঠিক বলছেন AT “কেন, আমি ভুল বলেছি?” ‘Sy, গুলিয়ে ফেলছেন। মঞ্জু Ig TIS প্রসাদই ও বাড়িতে কখনও ছিল না, এখনও নেই। থাকলে আমি জানতাম চিন্তিত অতনু কথা ঘোরাবার জন্যে বলে উঠল, “কিন্তু আপনার রেসুড়ে পার্টি কই এখনও তো ফিরল না!”



Leave a Comment