কিশোর বিচিত্রা [সংস্করণ-২] | Kishore Bichitra [Ed. 2]

বই থেকে নমুনা পাঠ্য (মেশিন অনুবাদিত)

(Click to expand)
আর মিষ্টি ভার সামনে ধরে দিলেন, খানিকটা আগে যে খাবার প্রত্যাখ্যান করেছিলো এখন পেট ভরিয়ে নাগা বৈঠা নিয়ে বসলো | ॥ দুই ul নাগাকে যাদববাবুর খুব পছন্দ হয়ে গেলো | নাগার awe জোরালো শরীর দেখে নিজের shear নেশার দিনগুলির কথা তার মনে পড়তে লাগলোে৷ ৷ দেহ-চর্চার দিকে কি ঝোকটাই তখন Sta ছিলো! নাগার বয়সে তিনি ছিলেন পাকাটির মতো রোগা, ক্রমাগত অস্থখেই ভুগতেন। আরও বেশী বয়সে আরম্ভ করে কয়েক বছর কুস্তি চালানোর পরে তার গায়ে যতোটুকু জোর হয়েছিলো, জীবনে হুয়তো একটা দিন ডন বৈঠক না দিয়েও আপনা থেকেই নাগা তার চেয়ে বড়ে৷ পালোয়ান হয়ে উঠেছে। মাঝির কাজও ater] ভালোই জানে | আটখামার থেকে রামতলা পর্যন্ত তার ঘণ্টাচারেকের মাঝিগিরির মধ্যেই সে প্রমাণ মিশেছে | যাদববাবু তাই ভাবলেন, নাগাকে স্থায়িভাবেই তার নৌকার মাঝি Pa ae ote মাঝি কবে ভালো হবে কে জানে; মাঝি তো একজন কার চাই । তিনি নাগার কাছে কথাটি পাড়লেন ৷ খুঁটিয়ে খুঁটিয়ে নাগার ARCH অনেক কথাই ততোক্ষণে জেনে ফেলেছেন । তাই তিনি স্পষ্ট করেই বললেন, “খাওন দিমু যতো খাওন চাস, পরন আর বেতন দিমু টাদের পালারে যা দিতাম। কি কস, থাকবি । নাগা বড়ো ভাবনায় পড়ে গেলো ৷ সে এখানে কাজ নিলে হারু মাঝি চুশকিলে পড়বে, অন্য একজন লোক তাকে রাখতে হবে এবং হয় লোকটিকে WS হবে বেতন, নয় দিতে হবে নৌকার আয়ের ভাগ । কিন্ত এদিকে she মাঝির কাছে থাকতে নাগার বড়ো কষ্ট। পেটভরে খেতে দেয় না, চাপড় ছি'ড়লে কিনে দিতে চায় না, একটা পয়সা চাইলে পর্যন্ত মেজাজ তার [রম হয়ে ওঠে । অথচ যাদববাবুদের কাছে তার কি যত্ন! নাগা সবে গত খেয়ে উঠেছে, একবারও তাকে কিছু চাইতে হয়নি, যেচে যেচে চতোবার যে তার পাতে ডাল তরকারি দিয়ে গেছে ! শেষের দিকে তার ঈতিমতো লজ্জা Safeco ৷ সবচেয়ে সে অবাক হয়ে গেছে, তার খাওয়া দখে সকলে সত্য সত্যই খুশি হয়েছে বলে । বাড়িতে একবারের বেশী "বার জলের মতো পাতলা ডাল একটু চাইলে হারু মাঝির বৌ মুখ ATA S ০



Leave a Comment