বিকিকিনির হাট [সংস্করণ-১] | Bikikinir Hat [Ed. 1st]

ছুজন। কাছে এসে ফের জিজ্ঞাসা করল--“এটা কোন্‌ গ্রাম ?? “'জামতলি ॥ আপনারা ” ব্রাহ্মণ” we? অন্ধকারে করজোড়ে দণ্ডবতের ভঙ্গি করলেন Stal | এবারে ব্রাহ্মণেরা জিজ্ঞাসা করলেন-_-“বজরায় কে ?” ওরা ছুজন সে কথার কোনো উত্তর দিলেন না। শুধু বললেন আমরা দূর থেকে আসছি, যাব দুরে। ঝড়ের মুখে পড়ে সঙ্গের ছিপ-নৌকা সব দলছাড়া হয়ে পড়েছে। আমরা উঠেছি এখানে। সকলেই থিদে তেষ্টায় ছটফট করছি, কিন্তু রসদের নৌকা হারিয়ে গেছে । আপনাদের নিবাস কতদূর ?” “নিবাস বলে কিছু নেই, আছে সুধু একখানা মাথা গৌজবার মতো কুঁড়ে | কাছেই বটে, ঘাট থেকে দেখা যায় ।” “শুনুন ঠাকুর, আমাদের বড়ো বিপদ? আজকের রাতের মতো অন্তত আমাদের মনিবকে আপনাদের কুঁড়েয় আশ্রয় দিন। সত্যিই যদি গরিব হুন বিনিময়ে প্রচুর পুরস্কার পাবেন ।” “পুরস্কারের কথা থাক । আপনাদের পরিচয় কি 1” “পরিচয় যখন দেবার দেওয়া হবে--আপাতত তাঁর সতৎকারের ব্যবস্থা করুন। আর এই আশ্রয়ের কথা যতক্ষণ না আমরা এখান থেকে চলে যাই ততক্ষণ গোপন রাখতে হবে 1 ছুই ব্রাহ্মণ নিযম়স্মরে নিজেদের মধ্যে খানিক পরামর্শ করে বললেন--“ আমরা প্রস্তুত, আপনাদের মনিবকে আসতে বলুন |” মশালচী দীর্ঘ এক মশাল জ্বালল। বিরাট বন্দুক নিয়ে এক বরকন্দাজ aera থেকে মাটিতে নেমে দাড়াল । ধীর TEs গতিতে তার পিছু পিছু এক সন্ত্রান্তকায় রাজপ্রতিম ব্যক্তি তার জমকালো পাঁগড়ির হীরা মুক্তা মানিক্যের ছটা ঝলসিয়ে মাটিতে নামলেন। অভিভূত ব্রাহ্মণদের একজন ভয়ে উৎকণ্ঠায় রইলেন নীরব | আর একজন THOTT শুধু বললেন--“আস্তান্ডা হোক হুজুর, ABB cay 1” আর ঠিক সেই সময় ছুই ব্রাহ্মণের কুঁড়ের সামনের বাবলা গাছে উড়ে এসে বসেছে এক শঙ্খধবল লক্ষ্মী প্যাচা। ছুই জা হঠাৎ থামিয়ে ফেলেছে তাদের ঝগড়া | চারহাত যুক্ত করে করজোড়ে তাকে প্রণাম করল তারা। একজন ছুটে গিয়ে শ'থ নিয়ে এসে বাজিয়ে দিল। ছুই জায়ের চার চোখ দিয়ে চারটে বড়ো বড়ো মুক্তোর ফোটার AS জল ST! তারা বলল-_ঠাকুরানী ক্বপা করো, ক্বপা করো I’ ১১