গৌরাঙ্গলীলা প্রসঙ্গ | Gourangalila Prasanga

বই থেকে নমুনা পাঠ্য (মেশিন অনুবাদিত)

(Click to expand)
১২ ©, গৌরাঙ্গলীলা প্রমঙ্গ কবি siya রচিত চৈতন্য চন্দ্রোদয় নাটকে লেখা আছে চৈতন্তযদেব তাঁর মাতৃদেবী, অদ্বৈতাচার্য ও ভক্তবৃন্দদের বলেছেন যে-_তাঁর AAA গ্রহণের পর জন্মস্থানের নিকটে আত্মীয়বর্গের সঙ্গে অবস্থান করা বিধেয় নয় । তাই তিনি দেশত্যাগের জন্য মত ভিক্ষা করেন | চৈতন্যদেবের ভক্তবৃন্দ তার নবদ্বীপ ত্যাগে সম্মত হন না। কিন্তু শচীদেবী বলেন- হে মহোদয়গণ, যদি fewer আমাদের কাছেই থাকার জন্য ধর্মহানি হয়, তবে কেবল আমাদের WaT জন্য তার অবস্থান সম্পর্কে আগ্রহ করা উচিত হবে না। খল ব্যক্তিরা যাতে তার নিন্দা না করে, সেই কাজ করাই Facey | আমার AS ate] আছে, তাহাই হবে। তাই জগন্নাথ ক্ষেত্রে যদি বিশ্বঙ্তর অবস্থান করে, তাহলেই সর্বাংশে উত্তম হবে। কারণ, লোক গতায়াত সংবাদ পাবার আশা থাকবে। চৈতন্য চন্দ্রোদয় নাটকে OS অক্কে লেখা আছে-_ Ista গঙ্গাদেবীকে বলছেন-_গোৌঁড়াধিপতি যবন রাজার ইদানীং প্রতাপরুছ- দেবের সঙ্গে বিরোধ থাকায় কারো গমনাগমন সম্ভব হোত না। অথচ কিরূপে চারটি পরিজনসহ ভগবান গমন করলেন ? গঙ্গাদেবী বলছেন-_আশ্যপুত্র, এ আশ্চর্যের বিষয় নয়। তিনি অস্ব্ধামী 9 জগতের অক্তত্রিম বন্ধু, জগতে যার cay কেহই নয়, তার প্রতি কে বিদ্বেষ- ভাব প্রকাশ করবে? এ দেখ, মৃপতিগণের উভয় পক্ষীয় ভয়ন্কর সৈন্যদের মাঝখান দিয়ে অনায়াসে পাচ-ছয়জন বন্ধুগণের সঙ্গে গমন করলেন ৷ নাটকের বক্তব্য SAC বোঝা যায়--চৈতন্যদেবের যাত্রাসঙ্গী পাচ-ছয়ছন ছিলেন | তাঁদের নাম অবশ্য উল্লেখ করা হয়নি নাটকে | চৈতন্যদেব ANNA গ্রহণের পর ১৫১০ সনে শাপ্তিপুর থেকে পালাচল গিয়েছিলেন | আবার ১৫১৪ সনে নীলাচল থেকে যাত্রা করে পৌছেছিলেন শাস্তিপুর। শাস্তিপুর থেকে আবার সম্ভবতঃ সেই বৎমরই নীলাচলে গিয়ে- ছিলেন | স্থতরাং চৈতন্যদেব দ্বিতীয়বার শান্তিপুর থেকে নীল৷।চলে কোন্‌ পথ অনুসরণ করে গিয়েছিলেন**'সে পথের বর্ণন] পাওয়া যায় না। সম্ভবতঃ সহজ- সাধ্য ও সংক্ষিপ্ত পথ ধরেই অগ্রসর হয়েছিলেন তিনি। চৈতন্য ভাগবত, চৈতন্য চরিতামৃতে এই যাত্রাপথের উল্লেখ নেই। অবশ্য এই ভ্রমণ-পন্জীকে ' তেমন উল্লেযোগ্য মনে করেননি চৈতন্য-চরিতকারগণ | শাস্তিপুর থেকে নীলাচল যাজাপথের কথা লেখা রয়েছে গোবিন্দদামের কড়চায় | সন্ন্যাস গ্রহণের পর চৈতন্তদেবের শাস্তিপুরে অদ্বৈতার্যের গৃহে আগমন



Leave a Comment