লোকমাতা সারদা [সংস্করণ-২] | Lokamata Sarada [Ed. 2nd]

বই থেকে নমুনা পাঠ্য (মেশিন অনুবাদিত)

(Click to expand)
এদিকে কামারপুকুরের ক্ষুদিরাম চট্টোপাধ্যায়ের ছেলের জন্যও পাত্রী খোঁজাখুঁজি চলছে। ক্ষুদিরাম চট্টোপাধ্যায়ের ছেলে! গদাধর দক্ষিণেশ্বরের কালী মন্দিরের পুজারী। কালী মন্দিরের প্রতিষ্ঠা করেছেন রানী রাসমণি। পিতার মৃত্যুর পর গদাধর দাদার সঙ্গে গিয়েছিলেন কলকাতায়। সেই wil ছিলেন দক্ষিণেশ্বরের কালী মন্দিরের পুরোহিত । হঠাৎ একদিন দাদা মারা গেলেন। তখন থেকে পুজোর দায়িত্ব এসে পড়ল গদাধরের ওপর। কিন্তু বিধি অনুযায়ী পুজো-আচ্চার দিকে মন নেই গদাধরের। পুজে৷ করতে করতে হঠাৎ একদিন গদাধরের মনে প্রশ্ব জাগল, “আমি কার পুজে৷ করছি ? Ml Ta না চিদ্ময়ী? যদি চিম্ময়ী হন, তবে এত ডাকাডাকি করি, তবু তার সাড়া পাই না কেন? কিন্তু হঠাং একদিন সত্যিসত্যিই মৃম্ময়ী মৃতি জ্যোতির্ময়ী fort হয়ে উঠল। গদাধর বাহুজ্ঞান হারিয়ে ফেললেন। কাতর কে মা_ মা” বলে ডেকে উঠলেন। তিনি আহার-নিদ্র৷ ত্যাগ করে অহোরাত্র সাধনায় মগ্ন হয়ে রইলেন | কামারপুকুরে গদাধরের জননী চন্দ্রমণি দেবী শুনলেন সে সংবাদ | অনেকে বলল, 'গদাধর পাগল হয়ে গেছে । আত্মীয়স্বজনের পরামর্শ অনুযায়ী চিকিৎসা চলল। শান্তি স্বস্ত্যয়ণও কর৷ হল-_কিন্তু কোন ফল পাওয়া গেল al আবার অনেকে পরামর্শ দিল--ছেলেকে বিয়ে দাও, তবেই তার পাগলামি সেরে যাবে | চন্দ্রমণি প্রথমে গোপনে পাত্রীর সন্ধান করতে লাগলেন | পরে মেজ ছেলে রামেশ্বরকে পাঠালেন গদাধরের জন্য পাত্রী খুজতে। কিন্ত sity পরিবেদনা। কোথায় পাত্রী! একদিন গদাধর শুনে বালকস্ুলভ আনন্দ ও উৎসাহ প্রকাশ করে বললেন, “জয়রামবাটির রামচন্দ্র মুখুজ্যের বাড়িতে কনে কুটো বাঁধা হয়ে আছে 1” ১২



Leave a Comment