রবীন্দ্রনাথের শিক্ষাচিন্তা [সংস্করণ-১] | Rabindranather Shikshachinta [Ed. 1st]

বই থেকে নমুনা পাঠ্য (মেশিন অনুবাদিত)

(Click to expand)
৪ রবীন্দ্রনাথের Prats নিরতিশয় সহজ কথাটা Tas পূর্বে একদিন বলেছিলেম ; আজও তার পুনরাবৃত্তি করব । সেদিন যা ইংরেজিশিক্ষার মন্ত্রমুগ্ধ কর্ণকুহরে অশ্রাব্য হয়েছিল আজও যদি তা THR হয়, তবে আশা করি পুনরাধ্বত্তি করবার মানুষ বারে বারে পাওয়া যাবে | — Party স্বাঙ্গীকরণ, ১৯৩৬ রবীন্দ্রনাথের জীবিতকালে তার এই বহু-আবৃত্ত আবেদন ইংরেজিশিক্ষার মন্ত্রমুগ্ধ কর্ণকৃহরে শ্রাব্য বলে গণ্য হয়নি । তাই তার আশাকে wal করে শিক্ষার মূলনীতি সম্পর্কে তারই উক্তির পুনরাবৃত্তি করবার ভার নিতে হল | শিক্ষায় মাতৃভাষাই মাতৃদুগ্ধ । অর্থাৎ, মাতৃভাষার যোগে যে শিক্ষা, সে শিক্ষাই স্বাভাবিক এবং তাতেই শিক্ষার্থীর মন স্বাস্থ্য ও শক্তি লাভ করে। অন্য ভাষার যোগে যে শিক্ষা, তা অস্বাভাবিক এবং তাতে শিক্ষার্থীর মনের স্বাভাবিক বৃদ্ধি ও পরিপুষ্টি লাভের অন্তরায় ঘটে । এই সত্যের প্রমাণ আমাদের দেশে যত পাওয়। যাবে, তেমন বোধ করি আর কোথাও যাবে না। রবীন্দ্রনাথের সাক্ষ্যই উদ্ধৃত করি। তিনি বলছেন, “শিক্ষার সাধনাকে পর-ভাষার দ্বার ভারাক্রান্ত করলে চিরকালের মতো তাকে পঙ্গু করার আশঙ্ক। থাকে । বিদেশী ভাষার চাপে বামন-হওয়। মন আমাদের দেশে নিশ্চয় বিস্তর আছে। প্রথম থেকেই মাতৃভাষার স্বাভাবিক Aner মানুষ হলে সেই মন কী হতে পারত আন্দাজ করতে পারিনে বলে তুলন৷ করতে পারিনে”। ইংরেজিশিক্ষার ‘aay tigen’ এবং “বিদেশী ভাষার চাপে বামন-হওয়া TV'S আজও দেশের উপরে আধিপত্য



Leave a Comment