প্রমথ চৌধুরী [সংস্করণ-২] | Promoth Chowdhury [Ed.2nd]

বই থেকে নমুনা পাঠ্য (মেশিন অনুবাদিত)

(Click to expand)
মনোজীব্ন দূরে । কৃষ্ণনগর আর নবদ্বীপ ভিন্নপথের পথিক। প্রমথ চৌধুরী তাই ধর্ম-সংস্কারের স্পর্শ পান নি, পান নি সাম্প্রদায়িক ভেদ্বুদ্ধি। তিনি ছেলেবেলায় মানসিক খোলা হাওয়ায় বাস করেছেন, তাই গড়তে পেরেছেন একখানি সংস্কারলেশহীন খজু মন ae প্রমথ চৌধুরী ছিলেন রূপবান্‌। তার পরিবারের পুরুষরা ছিলেন স্থপুরুষ আর মেয়েরা ছিলেন গৌরব gual) বাড়ির পরিবেশ ছিলো সৌন্দর্যব্যঞক। তাই প্রমথ চৌধুরী “ছেলেবেল। "থেকে রূপের ভক্ত, “CAAA চোখে দেখা যায় সে-রূপের চিরকালই অনুরাগী তিনি ” পাঁচ বছর বয়সে কোন এক মাতাল পিরালীবাবুকে বীরবল ( প্রমথ চৌধুরীর ছদ্মনাম ) জলকেলি করতে দেখেছিলেন -_'বৃদ্ধ বয়সেও তার কথা তিনি মনে রেখেছিলেন-_কারণ বাবুটির 'রং ছিল দিব্য গৌরবণ”; কিন্তু পিরালীবাবুর সঙ্গিনী ছুট স্ত্রীলোকের চেহারা তার চোখে পড়ে নি, কারণ তাদের 'আর যে গুণই থাক্‌, রূপ ছিল না'। প্রমথ চৌধুরী প্রথম যখন রবীন্দ্রনাথকে দেখেন, তখন কবিগুরুর অসামান্য রূপই তাকে মুগ্ধ করেছিলে৷।। অর্থাৎ তার চোখ নামক হইন্দ্রয়ট fan অত্যন্ত সচেতন, তাই রূপ কোনদিনই তার চোখ এড়াতো না IP প্রমথ চৌধুরী ছিলেন গ্রন্থকীট। কৈশোর তাঁর কেটেছে লাইব্রেরীর আবহাওয়ায় । তার বাবার ছিলে৷ ইংরেজী বইয়ের একটা বিরাট সংগ্রহ--দেশবিদেশের ইতিহাস, স্কটের উপন্যাস, শেক্সপীয়র- * IY চৌধুরীর ছেলেবেলাকার ব্ৃষ্ণনগরের সমাজ-জীবনের ওপর ক্ৃষ্চল্্র-ভারতচন্লোর তেমন প্রভাব ছিলে বলে মনে হয় না। থাকলে তিনি নিশ্চয়ই 'আত্ম-কথা'তে তার ইঙ্গিত দিতেন। + প্রমথ চৌধুরীর একটি উক্তি এখানে উল্লেখযোগ্য--'ভগবান, আমার বিশ্বাস, মানুষকে চোখ দিয়েছেন চেয়ে দেখবার জন্য, তাতে ঠুলি পরবার জন্য নয়।” -_-বীরবলের চিঠি, বীরবলের হালখাতা | ৬৩



Leave a Comment