রাগ ও রূপ [ভাগ-১] [সংস্করণ-২] | Rag O Rup [Part.1] [Ed. 2nd]

বই থেকে নমুনা পাঠ্য (মেশিন অনুবাদিত)

(Click to expand)
(সংগীত একটি প্রাণধর্মী জিনিষ এবং প্রাণের বিকাশ তার মধ্যে আছে একথা বলা বাহুল্য। * * প্রাণের যে ধর্ম সংগীতেরও হবে সেই ধর্ম। * * * বৈদিক যুগে এক রকম সংগীত ছিল-_'সামগান”। সেই সামগান নিঃসন্দেহে তখনকার যারা সাধক ছিলেন তাঁদের Vey থেকে CRs হয়েছিল--বিশেষ রূপ নিয়ে তথনকার ক্রিয়া-কর্মে TB তা” রস, রূপ পেয়েছে ও পূর্ণতা! লাভ করেছে। পরবরতীকালে GY এত দূরে গিয়ে পড়েছে যে, তখনকার সেই সামগান কি রকম ছিল SP আমরা নিঃসংশয়ে বলতে পারি না। তারপর এল কালিদাস, বিক্রমারদিত্যের যুগ । তথনকার সংগীত, নৃত্য, গীত বিশেষত্ব লাভ করেছিল সেই সময়কার গভীর সাম্রাঙ্গা গৌরব এবং আবেষ্টনীর মধ্য দিয়ে । আনন্দ যখন হয়ে উঠেছিল অদ্রভেদী--তখন তারই অনুরূপ সংগীত যে জন্মেছিল তাতে সন্দেহ নাই | কিন্তু বাঙ্গলাদেশের একট] বিশেষত্ব আছে; বাঙ্গালী ভাবপ্রবণ জাতি। এই ভাবের উচ্ছ্বাস যখন প্রবল হয়ে ওঠে, তখন সে আপনাকে প্রকাশ করে। তার প্রকৃতিতে যখন GS হয়, তখন সেই শক্তি যায় বন্ধনের দিকে । পরিমিতভাবে যখন ফলে তখন আপনাকে সে প্রকাশের সম্পদ্ব পায় না। সেই হৃদয়াবেগ যখন তীর ছাপায় তখন সে উচ্ছ্বাসকে সে গানে নৃত্যে উচ্ছ্বাসিত করে। দেখুন, বৈষ্ণব সংগীত-সমস্ত ছিন্দুস্থানী সংগীতকে পিছনে ফেলে বাঙ্গালীর প্রাণ আপনার সংগীতকে উদ্ভাসিত করেছে — ACRE তার ভেতরের হৃদয়-বেগ সহজ মাত্রা ছাড়িয়ে উঠেছিল, আপনাকে প্রকাশ না কোরে পারেনি। যে কীর্তন বাঙ্গালী গেয়েছিল তা' তৎকালীন পারিপাশ্বিক ক্রিয়াবান প্রত্যুত্তর । * * আজকের দিনের বাঙ্গালী, যে বাঙ্গালী একদিন এই কীর্তনের মধ্যে, লোক-সংগীতের মধ্যে বিশেষত্ব প্রকাশ করেছে--সে কি আজ নূতন কিছু দেবে না? সে কি কেবলি পুনরাবৃত্তি করবে ? “আমি we, আমি কাউকে জানি না, কাউকে মানি না? আমরা যা-কিছু দৃষ্টি করি না কেন, তার মধ্যে ভারতীয় ধার] আপনি যাবে। আমাদের সেই আভা, সেই ভারতীয় প্রকৃতি তেমনি আছে যেমন পূর্বতন কালে কীর্তনগানে--বাউলে ছিল । সেই রকম আজ যদি বাঙ্গালী আপনাকে সংগীতে চিত্রকলায় প্রকাশ করতে ইচ্ছা করে তবে সেই প্রকৃতিকে awa করতে পারবে না-যদি একমাত্র লক্ষ্য থাকে যা-কিছু করবে নিজেকে মুক্ত ক'রে--নকল ক'রে নয় ।--( ২৮শে ডিসেম্বর ২৯৩৪ ) রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর



Leave a Comment