ছয়টি উপন্যাস | Chhayti Upanyas

২২/বুদ্ধদেব গুহর ছয়টি উপন্যাস দশরথ আবার জিজ্ঞেস করল। “গ্যায়ী তে বুঝলাম যে জানোয়ার যাই হোক, স্ত্রী লিঙ্গের। জঙ্গলমে গ্যয়ী হোগী। আ যায়েগী। বলেই, WS নামক আমারই সমবয়সি যুবকটি আমাকে বলল, আইয়ে বাবু। পাধারীয়ে। বুড়ো দশরথ নমস্কার করে চলে গেল। বলল, কোনো চিত্তা নেই। ABA পানকাই ছগনলাল পোপোটলাল কোম্পানির ম্যানেজার | কাল ফেরেনি তো কি হয়েছে। আজ অবশ্যই এসে পড়বে একটু পরেই। আমি বুকপকেটে রাখা বড়োমামার চিঠিটার উপরে একবার হাত বুলোলাম। বড়োই ভয় করতে ও দুশ্চিন্তা হতে লাগল আমার | গত রাতে সন্ভরাম পানকা ফিরে আসেননি এবং আজ রাতেও এলেন না। মানুষটা কেমন, দেখতে কেমন, তার বয়স কত, কিছুই জানি না। অথচ তিনিই আমার উপরঅলা। আর এই পানকা শব্দটা কি পদবি না উপাধি তাও বুঝতে পারলাম না। এখন সকাল দশটা | রাতে তো আসেনইনি। এখনও পর্যন্ত আসেননি। সন্ভরামবাবু না-ফেরাতে বড়োই অস্বস্তিতে ছিলাম। বড়োমামার দেওয়া চিঠিখানি বুকপকেটে বোঝার মতন ঠেকছিল। নানারকম চিন্তা হচ্ছিল। তবে বুঝলাম যে, fowl করেই বা কি acai আমার চিন্তার কথা ভুলে বড়োমামাকে কি জানাব জয়সোয়াল বাসের ড্রাইভারে মাধ্যমে, সেই চিত্তাতেই অমার মাথা গরম হয়ে গেল। ভাবছিলাম, দিনের এই সময়টিতে মা আমার দু টুকরো পাউরুটি এবং এক কাপ চা খেয়ে কলতলাতে কাপড় BSCS বসেছেন। পুঁটি স্কুলে গেছে। দী-বাড়িতে MSM ডাকছে উঁচু পাঁচিলে বসে। মা বলছেন, যা! যা! পালা! হুস-স-স। মা জানেন যে, ওরা যাবে না, যায় না, গরিবের ঘরের নিত্য অভাবের WHA | কিন্তু তবু রোজই বলেন। অভ্যেস | মায়ের যা অভ্যেস মা তা করেন এবং কাকেদের যা অভ্যেস তারাও তাই | মায়ের কথা বড়ো মনে পড়তে লাগল। আমার বিধবা মা। অনেক দুঃখ আর অভাবের মধ্যেও ভালোবাসা দিয়ে বাবা আমার মাকে সব সময়েই আড়াল করে রাখতেন। সেই আড়াল চলে গিয়ে মায়ের জীবন, আমাদের জীবন, অভাবের উগ্র-আলোতে হঠাৎই বড়োই অসহায়, বে-আবরু হয়ে গেছে। যত কষ্টই বা অসুবিধেই হোক না কেন, এই গামহারগীও নামক আরণ্যক জায়গাটিতে আমাকে দাত কামড়ে পড়ে থাকতেই হবে। ফিরে গেলে, চলবে না। পুঁটি আর মায়ের সব দায়িত্ব তো আমারই | গতকাল সন্ভরাম পানকা ফিরে আসেননি, কিন্তু জিগারি ফিরে এসেছিল। সে আবির্ভূত হবার আগে আমি ভেবেছিলাম জিগারি হয়তো কোনো বিকট-দর্শন কুকুরি বা কোনো জাঁহাবাজ মহিলা হবে। কিন্তু সন্ধে নামার ঠিক আগে আগেই একরাশ বেগনি-রঙা বুনো