পরলোক-প্রসঙ্গ [খণ্ড-২] | Paralok-prasanga [Vol. 2]

বই থেকে নমুনা পাঠ্য (মেশিন অনুবাদিত)

(Click to expand)
৬ পরলোক-প্রস্ঙ্গ প্রতি দৃষ্টি নাই, আত্মাতে বিশ্বাস নাই। স্বপ্নে যেমন দেহকে মনে পড়ে না, SHAS যেমন VA YAS তুরীয় জগতের ঘটনা দর্শন করা যায় না অথচ এগুলি সবই বর্তমান রয়েছে। এই আত্মাকে উপলব্ধি বা জানার জন্য রাজযোগ, জ্ঞানযোগ, ভক্তিযোগ, লয়যোগ, কর্মযোগ প্রভৃতি অসংখ্য উপায় রয়েছে। এই উপায়গুলি প্রকারন্তরে প্রপঞ্চ হতে কিনা পঞ্চডুত হতে নিজকে পৃথকীরণের প্রণালী | ছুইএর মধ্যে এক মিশে একাকার হয়ে ছুই হয়ে গিয়েছে। ছুইএর মধ্যে এসে এক নিজের স্বরূপ হারিয়েছে। এখন ছুই হতে এককে বেড় করে আনাই হল সাধনা। বুদ্ধি করে কৌশল করে নিজের মধ্যে আত্মাকে বেড় করে নেওয়াই হল সকল যোগের মৌল Steg | আমরা ভ্রমবশতঃ দেহ মন, বিষয়কেই মনে করি আত্মা, কিন্তু মুখে বলি আমার দেহ, আমার হাত, আমার পা|। এখানে আমার যদি হাত হুয় তবে আমি হাত নই, আমি পা নই। আমি একটি স্বতন্ত্র বস্তু, আর আমার হাত পা মুখ ইত্যাদি হল আমার বিবয়। আমি হাত আমি পা একথা আমরা কখনও ভমেও বলি ali সেই আমি হল আত্মা। আত্মাই Val, চালক, দেহ যন্ত্রমাত্র। যন্ত্রীকে জানাই হল যোগ। সেই আত্মাকে সহজে এই চক্ষু কর্ণ মন দিয়ে দেখতে শুনতে বুঝতে পারি ali কোনোপনিষদ বলছেন — তিনিই কর্ণেরও কর্ণ, মনেরও মন, বাক্যেরও বাক্য, প্রাণের প্রাণ, চক্ষুরও চক্ষু, Wate জ্ঞানী বিবেকীরা ইন্দ্রিয়াদিতে আত্মবুদ্ধি পরিত্যাগ করে এই সমস্ত হতে মনকে নিবৃত্ত করে অমৃতত্ব লাভ করেন। সেই যে TGA অমৃতভূমি সেখানে এই প্রাকৃত চক্ষুর দৃষ্টি যায় Al, বাক্য ও মন গমন করে না। বাক্য তাকে প্রকাশ করতে পারে না কিন্তু তার দ্বারা শব্দ প্রকাশিত হয়, মন যাকে fowl করতে পারে না কিন্তু তার শক্তিতে মন শক্তিমান হয়, চক্ষু ও কর্ণ



Leave a Comment