বিভূতি-রচনাবলী [খণ্ড-৯] | Bibhuti-rachanabali [Vol. 9]

বই থেকে নমুনা পাঠ্য (মেশিন অনুবাদিত)

(Click to expand)
/০ শঙ্করদের গীয়ের একজন ফেরারী জামাই আফিকাতে নতুন রেলের লাইনের কাজ্জে তাকে ঢুকিয়ে দিল। কাজটা অবিশ্ঠি নামে স্টেশন-মাস্টারি হলেও কেরানীগিরি ছাড়া আর কিছু নয়। কিন্তু সেই নির্জন বনভূমিতে সিংহ ও সাপের অধ্যুষিত লীলাভূমির কেরানীও মাধারণ কেরোানী হতে পারে না। তার উপর নির্জনতা আর স্ব GAAS গাঢ় অদ্ধকার। রাতে সিংহের ভয়ে ট্রেনও চলত না। সে সব দিন-রাতের ভীষণ-সৌন্দর্যের তুলনা হয় না। চোখের সামনে যেন দেখা যায় । মনে হয় শুধু বই-এ পড়] মন-গড়া পরিবেশ এ নয়। হয়তো কেউ চাক্ষুষ দেখে এসে তাঁকে মুখে মুখে বলেছিল। বার্ড কোম্পানির ভূ-বিদ্যা বিষয়ের শ্রীপ্যামলকুষ্ ঘোষের সঙ্গে বিভূতিভূষণের যথেষ্ট সৌহার্দ ছিল। শ্যামলকৃষ্ণের শৈশব ও প্রথম যৌবন আফ্রিকায় কেটেছিল, ঠিক এ পরিবেশেই । হয়তো স্পর্শকাতর রেকডিং যন্ত্রের মতো স্তযামল- eer সেই অঙ্গভূতি বিভুতিভূযণের মনের ওপর প্রতিবিশ্বিত হয়েছিল। তাই অল্প কথায় বলা সেই কাল্পনিক অভিজ্ঞতার বিষয় পড়ে গায়ে কাটা দেয় । নায়ক Bah সেখানে বেশি- দিন থাকে নি, গুপ্তধনের সন্ধানে বিদেশী সঙ্গীর সঙ্গে দুর্গম গিরি কান্তার মরু পার হয়ে ফিরেছিল। , “চাদের পাহাড়” নামটিও মন-গড়। নয়, সত্যিকার আফ্রিকার মত্যিকার পাহাড়ের স্থানীয় নামের অঙ্গবাদ মাত্র | গল্পে বণিত গাছ-পালা, পপ্ত-পাখি, ভু-গর্তের সম্পদ্ব, স্থানীয় অধিবাসীদের আচার, আচরণ, আহার-বিহার সব-ই বাস্তবাহুগ । ব্নময় পাহাড় চড়ার ক্রেশ-ক্লান্তি ate বাস্তব এবং রচয়িতার অভিজ্ঞতা প্রস্থত। Urs যে অভিজ্ঞতা মানভূমে সিংভূমে আহত, আফ্রিকাতে FF একজন সাহিত্যিকের মধ্যে একটি সমগ্র মননশীলতা থাকে, ere তার প্রতিভা নানান দিকে বিচিত্রভাবে বিচ্ছুরিত হতে পারে। বলি লেখকের নিজের সাহিত্য-সত্তার মধ্যে কোনো ae থাকে ali যে বিভূতিভূষণ “পথের পাঁচালী” “আরণ্যক” লিখেছেন, তিনিই, এবং একমাত্র তিনিই নিঃসন্দেহে ছোটদের জন্য এই কাহিনীগুলি রচনা করেছেন। এই প্রসঙ্গে বর্তমান রচনাবলীর Ww খণ্ডের ভূমিকাতে শ্রীযুক্ত গোপাল হালদারের উক্তির কথা মনে পড়ে । বিভূতিভূষণের মূল সাহিত্য-পরিচয়ের বিষয়ে তিনি লিখেছেন, “***তার মৃূল স্বত্রগুলি'** একবার নির্দেশ Fal যেতে পারে।**“জগৎ ও জীবন HUG সহজ বিশ্ময়-দৃষ্টি, FST তা কবি-স্থলভ, কতকটা শিশু-স্থলভ, কিন্তু সততায় hs; Sefer নিসর্গানভুতি a প্রকৃতি- প্রীতি; অকুষ্ঠিত রহস্তান্ভূতি বা অস্তমুখিতা এবং সাধারণ জীবনযাত্রার শী ও মাধুরধ-বোধ-- এই চার সীমায় বিভূতিভূষণের মূল সাহিত্য পরিচয়কে স্থাপিত করা যায় ।” কথাগুলি অনহ্ণীলন করলেই বোঝা যায় যে ঠিক এই উপাদানেই শিল্ু-মাহিত্যও তৈরি হ্য়। সমরসেট Wy এক জায়গায় লিখেছিলেন যে গন্ভের আদর থাকে চল্লিশ বছর, কিন্তু কাব্যের আদর চিরস্তন। অর্থাৎ চল্লিশ বছরের মধ্যে যে কোনে গল্পের বইয়ের বিষয়-বস্তু HATA ও সে-কেলে হয়ে যায়, কাজেই পাঠকদ্বের আর আকৃষ্ট করে ai কিন্তু কাব্য লেখা ea হৃদয়ের চিরন্তন সামগ্রী দিয়ে; সেগুলি স্থান-কাল-পাল্পের হিসাবের বাইরে। এই



Leave a Comment