সাহিত্য ও সংস্কৃতি তীর্থসঙ্গমে | Sahitya O Sanskritir Tirthasangame

বই থেকে নমুনা পাঠ্য (মেশিন অনুবাদিত)

(Click to expand)
বাঙলার sie ও বৈধ্ব Ate (>) বাঙলা! দেশের ধর্ম ও সাহিত্যে যে দুইটি প্রধান ধারা বহু “eral ধরিয়া পাশাপাশি প্রবাহিত হইয়াছে, তাহাদের কাব্য-অভিব্যক্তিতে একটি বিশেষ পার্থক্য দেখা যায়। মঞ্গলকাব্যগুলিতে শক্তি-পূজার যে বিবরণ পাওয়া যায় তাহা অনেকটা বহিরঙ্গমূলক; তাহাতে আড়ম্বর ও অন্গষ্ঠানের বাহুল্য ও ভক্তের পুজা করিবার যে আগ্রহ তাহা অপেক্ষা দেবতার পুজা পাইবার লোভ প্রবলতর। পূজার Cage সাংসারিক উন্নতির আকাঙ্ক্ষা ও প্রলোভনের দ্বারা বিশেষভাবে প্রভাবাদ্বিত। বৈষ্ণব পদাবলীর মধ্যে সাধনার যে গভীর, এঁকাস্তিক নিষ্ঠা ও অস্তরঙ্গ আত্মনিবেদনের মাধুর্য আছে, মঙ্গলকাব্যের শক্তি-পূজায় ভক্তি তাহার তুলনায় অনেক্টা নিয়স্তরের--সাহিত্যিক গুণেও উভয়ের মধ্যে অনেকটা তারতম্য | আখ্যান-কবিতায় বাস্তব-প্রতিবেশ-চিত্র ও ঘটনা-বিবৃতিই বিশুদ্ধ ভাবাবেগ অপেক্ষা প্রধান। কিন্তু ক্রমশঃ বৈষ্ণব সাধনার অস্তরঙ্গ সুর ও বিগলিত ভাবাবেশ-মাধুর্ষ শাক্ত কাব্যেও সংক্রামিত হইল-_দেবীর স্তব-স্তুতির মধ্যে ভক্তের আত্মসমর্পণ ও uate নির্ভরের ভাবটি বৈষ্ণৰ কবিতার প্রভাবের ফল-স্বরূপ ফুটিয়া উঠিল 1 তারপর স্তদশ শতক হইতে বৈষ্ণব কবিতা ক্রমশঃ নিজ প্রাণশক্তি হারাইয়া গতান্গগতিক st ও ভাবের ofan বন্ধনে বাধা পড়িল। ইহার অলঙ্কার weg অনুভূতিকে ছাপাইয়৷ উঠিল। যে অন্গপাতে বৈষ্ণব কবিতায় ভাটা পড়িল, ঠিক সেই অঙ্গপাতেই শাক্ত কবিতা জোয়ারের পরিপূর্ণ উচ্ছ্বাসে ভরিয়া উঠিতে লাগিল। শীর্ণ ধমনী হইতে রক্তধারা পুষ্ট শিরা" উপশিরায় সঞ্চারিত হইতে লাগিল। পুণিমা-প্রভাতে যেমন ম্লানায়মান চন্দ্মগুলের চারিদিকে উদ্দয়োন্মুখ mia রক্তিম আভা ক্রমশ: উজ্জ্বল ety উঠে, সেইরূপ বাঙলার সাহিত্যাকাশে বৈষ্ণব কবিতার tba অস্তাচলে হেলিয়া | পড়িবার সঙ্গে সঙ্গে শাক্ত সাধনার সৌরকরজাল প্রথর হইয়া উঠিল। বাংলা সাহিত্যে শক্তিকেন্দ্র ও প্রাণস্পন্ানে আধার স্থানাস্তরিত হইল এই পরিবর্তনের, ভ্রমস্ফুরিত ইঙ্গিত ও বিক্ষিপ্ত ধারাগুলি কেন্দ্রীভূত হইয়াছে রামপ্রসাদের সাধনায় ও গানে।



Leave a Comment