রচনা-সংগ্রহ | Rachana-sangraha

বই থেকে নমুনা পাঠ্য (মেশিন অনুবাদিত)

(Click to expand)
৬ পান্নালাল রচনা-সংগ্রহ করে কিছুকাল কাটিয়ে দিতে পারলেই দেশের উপর তাঁদের ক্ষমতা বেড়ে যাবে এবং জনগণ কিছুটা শান্ত ও বুদ্ধিমান হবে এবং শেষ পর্যন্ত ভালই হবে Beri মোট কথা জনগণের দুর্গতিতে রাষ্ট্রনায়কেরা ততটা ভয় পাচ্ছেন না--যদি আবেদন করে সাড়া না পাওয়া যায়--তবে গুলি করে ঠাণ্ডা রেখেও কাজ এগিয়ে নিয়ে যেতে হবে। যদি এ করেও এগিয়ে নিয়ে যাওয়া সম্ভব হতো তবে এই প্রচণ্ড পদ্থায় চলা শেষ পর্যন্ত সার্থক হতে পারত। কিন্তু আজ আর এই ধনতন্ত্র ও সাম্রাজাবাদেব NS মধ্যে এক পা'ও এগিয়ে যাবার ক্ষমতা নেই তাদের দেশের অর্থনৈতিক ও সামাজিক শান্তি, শৃঙ্খলা ও আত্মরক্ষার মূলগত ব্যাপারে ।* ফলে দেখা যাচ্ছে প্রতি পদে পদে বাধা দীড়াচ্ছে, এক পা এগিয়ে চলেছে তো তিন পা Pies SPR AS ফলে রাষ্ট্রনাযকরা সামনের দিকে না গিরে সোজা ঘুরে উল্টো দিকে যাবার জন্য প্রাণপণ চেষ্টা PALA YAS বছর আগেকার পৃথিবীতে যেতে পারলে যেন বেঁচে যান--এবং পিছন দিকে যাওয়া সম্ভব মনে কবে পিছন দিকে সোজা রওনা হতে চাইছেন। কিন্তু পিছনে ঝুঁকে পড়া সহজ মনে হলেও পিছন দিকে বেশিদূর যাওয়া সম্ভব নয---কেননা ইতিহাস সত্যি পিছনে যেতে পারে না--বর্তমানটা আঁকড়ে ধরে বাখবাব জন্য সামনে দিকের উপব দেয়াল দাঁড় করিয়ে তাতে com দিয়ে পিছন ফিরে দাঁড়ায় মাত্র। ফলে অযথা BAS বেডে যেতে থাকে-_অযথা বিপদ সম্পূর্ণ অপ্রত্যাশিত দিক দিয়ে বেরিয়ে আসে-_-যেমন এসেছে সাম্প্রদায়িকতা ও পাকিস্তান হিন্দুস্থানের লডাই রূপে। মোট কথা ফাঁকি দিয়ে, জনসাধাবণের অজ্ঞাতে জনসাধারণের সাক্ষাৎ সহযোগিতা ও সম্ঞান নিষ্ঠা বাদ দিয়েই দেশগঠনের নামে যা হচ্ছে তা হলো HOA AH | জনসাধাবণেব দেশ জনসাধারণ নিজ হাতেই sera এবং সম্ঞানে। তার উপযুক্ত মানসিক সম্পদ ও শক্তি আজকের ধনতন্ত্র বা গতাযু জাতীষতাবাদ যোগাতে পাবে নি। নৈতিক শক্তি ও বীর্যবান মনোভাব জনসাধারণের সাধারণ গুণ হিসাবে দাঁড় করাতে না পারলে কোনো দলই দেশগঠন করতে পারে না। চাবদিকে আজকেব নৈতিক দুর্গাতি ও অধঃপতন সম্বল করে কোনো নেতা বা কোনো দলই কিছু করতে পারবে না। মহাত্মা গান্ধী সর্বসাধাবণের মধ্যে একটা নৈতিক বল ও জাগরণ আনবাব ক্ষমতা তবে কি বামপন্থী সাম্যবাদী বা সমাজতন্ত্রীরা রাখে? এইটাই আজকের দিনে এক বিশেষ বিবেচ্য বিষয়। য়ে মানসিক সম্পদ ও সত্যিকার জাগ্রত চেতনা বর্তমান ধনতন্ত্রপন্থী নেতারা জাগিয়ে দিতে অসমর্থ হয়েছে--তা যদি বামপদন্থীরাও না জাগাতে পারে তবে ধ্বংস অনিবার্য। মনে বাখতে, হবে আজ শুধু দেশগঠনের জন্য মামুলি গঠনমূলক মনোবৃত্তি জাগাতে পারলেই যথেষ্ট নয়-৮পরস্পর ঈর্যা ও দাঙ্গার কলুষিত আবহাওয়া ও সর্বপ্রকার দুর্নীতির দূষিত আবহাওয়াব ্লতিযেধক বলিষ্ঠ মনোবলই শেষ কথা নয়--প্রচণ্ডতম আঘাত, আণবিক বোমাব আঘাত সহ্য করতে পারে এমন মনোবল সুষ্টি করতে হবে দেশে--নইলে সাম্রাজ্যবাদীদের কাছে হার মার্নতে মানতে শেষ পর্যন্ত স্বেচ্ছায় একপ্রকার বশ্যতা ও দাসত্ব স্বীকার করে নিতে হবে। বর্তমান মানসিক দুর্গতির চেহারাটা দেখে সেই নির্ভীকতা ও নৈতিক বল কখনো আমাদের হবে এ যেন বিশ্বাস করতে * নারায়ণ গুপ্তের 'সমাজতান্ত্রিক Mela wes নয় কেন?” দ্রষ্টব্য



Leave a Comment