বিতর্ক [সংস্করণ-১] | Bitarka [Ed. 1]

বই থেকে নমুনা পাঠ্য (মেশিন অনুবাদিত)

(Click to expand)
ইয়োরো-আমেরিকান মডেলটি চোখের সামনে রেখে আমাদের কর্মসূচী চালু রাখবো ? সমাজতন্ত্রেও শিল্পায়ন চাই, ধনতন্ত্রেও শিল্পায়ন চাই। কিন্তু উপর উপর দেখলেই হবে না। ইস্পাতনগরীর আকাশচুম্বী চিমনি আর ধোয়া দেখলেই মনে করার কারণ নেই যে আমরা সমাজতন্ত্র গড়ছি- এমনকি তা রাষ্ট্রায়ও হলেও সত্যিকার সমাজতন্ত্র না-ও হতে পারে। শেষপর্যন্ত দেখতে হবে কোন্‌ ধরণের জীবনমান আমরা! wy করতে চলেছি। উচ্চমান ভোগবাদী জীবনের ছবি পাশ্চাত্য সমৃদ্ধ দেশগুলি আমাদের দেখাচ্ছে, তা কি আমাদের মত দরিদ্র দেশের কোটি কোটি দরিদ্র জনসাধারণের পক্ষে কোন কালেও সম্ভব হবে? যতটুকু “উন্নয়ন” এযাবৎ হয়েছে, তার Bea কি জনসাধারণের স্তরে এসে পৌচেছে? কেন উল্টোটাই দেখতে পাচ্ছি। ধনীরা মনে করছেন, তাদের উন্নতির মানদণ্ড দিয়েই, দেশের ও জনসাধারণের উন্নতির মান বোঝায়। আর এদেশে যতটুকু শিল্পায়ন হয়েছে তা থেকে তৈরী মালপত্র দেশের লোক কিনতে পারছে না, কেননা জনসাধারণের সত্যিকার আয় বা GI ক্ষমতা বাড়ছে না। ফলে ভারীশিল্লের উৎপাদনের বাজারও বিদেশেই খু জতে হচ্ছে। এর ফলে উন্নত দেশগুলি এদেশেরই কাঁচামাল এদেশের As! মজুরের সাহায্যে উৎপাদন করে নিয়ে যেতে সমর্থ হচ্ছে এবং তারই জন্য বৈদেশিক খণ ও সাহায্য শেষ পর্যন্ত এসে থাকে। যাক, এজাতীয় কথা আমাদের কাছ থেকে কম্পাস পাঠকেরা দীর্ঘকাল রে শুনে আসছেন। আমরা এখন মনে করছি যে এসব প্রশ্নগুলিকে এখন কেবল কম্পাসের পাতার মধ্যে সীমাবদ্ধ না রেখে সর্বসাধারণের মধ্যে উপস্থিত করবো, যাতে দেশব্যাপী একটা প্রবল তর্কবিতর্কের ঝড় ওঠে। জানি মধ্যবিত্ত শ্রেণী সাধারণত তার নিজের স্বার্থ, লক্ষ্য ও জীবন- মানের বিরুদ্ধে সহজে সোচ্চার হবে না। তবু শিক্ষা-দীক্ষা ও জনমত স্গ্জির ব্যাপারে তাদের একচেটিয়া অধিকার আছে বলে তাদের কাছেই প্রথমে প্রশ্নটি তুলতে হবে। কিন্তু তারপর এই প্রশ্নটিকে জনসাধারণের মধ্যেই টেনে নিয়ে যেতে হবে। ব্যাপারটা সহজ হবে না, কেননা জনসাধারণের রুচি ধ্যান-ধারণা ও স্বপ্পকেও এই মধ্যবিত্তরা অনেকটা বিকৃত করতে সমর্থ হয়েছেন। দরিদ্ররা উচ্চমান পরতামজীবী ১২



Leave a Comment