For Complaints/Suggesstions related to this material, please clickHere
বই থেকে নমুনা পাঠ্য (মেশিন অনুবাদিত)
(Click to expand)হক এতক্ষণ ফিক ফিক করে হাসছিল। শুদ্ধ পশ্চিমবঙ্গীয় উচ্চারণে
সে বললে, “আমাদের বাড়ি ছিল হাওড়ার বীকড়া গ্রামে। রিফ্যুঞ্জি হয়ে
বাবা পাকিস্তানে এলেন । তারপর পেটের দায়ে দেশ থেকে পালিয়ে
বামিংগাওয়ে এসে ফ্যা-ফ্যা করে ঘুরে বেড়াচ্ছিলাম। হঠাৎ সাহাদার
সঙ্গে একদিন রাস্তায় আলাপ হয়ে গেল। দাদা আমার চাকরি করে
দিলেন; এখন ছু'জনে একখানা ঘর ভাড়া করে একসঙ্গে আছি ” বরুণ সাহা বললে, “ল্যাখাপড়া শিখি নাই, তাই আমাদের ওয়েটার
হওয়া ছাড়া গতি কী] কিন্তু আমার কাকা ডবল গ্র্যাজুয়েট, দিল্লীতে
হাই-অফিলার। কাকা লিখেছেন মাসে দশ টাকা সঞ্চয় করতে পারেন না। পআপনাদের আশীর্বাদে আমি মাহ্ছলি বারশ' টাকা ‘cw’ করত্যাসি ।” aqa বিদেশে ওয়েটারের কাজে মধ্যবিত্ত শিক্ষিত ঘরের পন্ভান বরুণ
mel তেমন মনোবল পাচ্ছিল না। তাই আমার কাছে ভরসা চাইল,
“বিদেশে আইস্তা ভুল করিনি, কী বলেন 1” “মোটেই না।” আমি উত্তর দিই | “তবে চিরকাল থাকছি না। কয়েক হাজার টাকা কামাই করে
কলকাতায় ফিরে একটা চপ-কাটলেটের দোকান দেবো |” বরুণ সাহার আরও কিছু বলার ইচ্ছে ছিল। কিন্তু মালিক ফিরে
আসায় আর কথা হলো না। পাছে আমি বিব্রত হই, তাই চৌধুরী নিজেই আমার সঙ্গে খেতে
বসলেন। পরম আদরে নানারকম মধুর অত্যাচারে আমাকে ব্যতিব্যস্ত
করে অতিথিসেবাপর্ব শেষ করলেন। দেশ ছাড়বার আগে অন্বকের
কাছে শুনেছি, বিদেশে “কারি” পাওয়া যায় না, 'কারি'র নামে সায়েবদের
কাছে যা বিক্ররি করা হয়, তা কারির '“আ্যাপলজি'! কারির বিকুদ্ধে
যারা এইসব গুজব ছড়িয়ে বেড়ান, তাদের কাছে আমার বিনীত অনুরোধ,
একবার বামিংহামে চৌধুরীর রেস্তোরায় পদধূলি দেবেন। ভারতবর্ষের
উত্তর থেকে দক্ষিণে, পূর্ব থেকে পশ্চিমে বনু পরিবারে এবং বছ দোকানে
কারি খেয়েছি, কিন্তু আমার কারি-অভিজ্ঞতায় প্রথম স্থান দিতে হবে
চৌধুরীর দেোকানকে। | চৌধুরী সেদিন শুধু আপ্যায়নই করেননি, নিজের AMAT ১৬