কবিতার বিচিত্র কথা | Rabindra Samakalin Bangla Kabitar Dhara

বই থেকে নমুনা পাঠ্য (মেশিন অনুবাদিত)

(Click to expand)
কবিতার বিচিত্র কথা বার-বার বল্তে হয়। অর্থের নির্দিষ্ট সীমা অস্বীকার করাটাই wre চিরকালের স্বভাব। অর্থাৎ ভাব চায় ব্যঞ্চনা। আস্বাদন-দক্ষ কাব্য-রসিকের কাছে ব্যঞ্জনার তত্ত্ব সবিস্তার ব্যাখ্যার অপেক্ষা রাখে না। ভাষার মধ্য দিয়ে বিশেষ ব্যক্তির মনোভাব যখন সমবেদনাময় অন্যান্য মনে সহজে ছড়িয়ে গিয়ে বাঞ্জনা সঞ্চার করে, তখনই বুঝতে হবে ভাষার বিশেষ আস্বাদন-বাহকতার পরিচয় পাওয়া গেল। কবিতার মধ্যে আছে ভাষার এই বিশেষত্ব | এই পূর্বকথা মেনে নিয়ে অতঃপর বিশেষভাবে কবিতার স্বরূপ এবং শ্রেণী বিভাগের আলোচনায় নাম যেতে পারে | চণ্ডীদাস থেকে শুরু করে আমাদের বর্তমান রবীন্দ্র-যুগ অবধি বাংলা কবিতার দীর্ঘ প্রবাহের দিকে দৃষ্টি রাখলে প্রথমেই যেটা চোখে পড়ে, সে হলো বিষয়ে'র বৈচিত্র্য,তার চাল-চলনের বিচিত্রতা এবং প্রকারগত বিভিন্নতা ৷ গীতিকাব্য, মহাকাব্য, _নীতি-কবিতা, নির্সর্গ-কবিতা,--প্রেমের কবিতা, দেশাত্মবোধের কবিতা ইত্যাদি কতো যে শাখা-উপশাখা আছে, তার আর TE নেই। একটু নজর দিলেই আরো দেখা যায় যে এই অশেষ প্রকারভেদ অবলম্বন করে কবিতার যে মহাদেশটি ছড়িয়ে আছে, তাতে বন্ধুরতাও কম নেই । জনশ্রুতির জোরে “কবিতা নামে এমন অনেক কিছু দাড়িয়ে গেছে, যাকে কবিতা বলতে আপত্তি করাটাই সুস্থ মনের প্রত্যাশিত কর্তব্য । চাযের জমিতে ফসলের সঙ্গে-সঙ্গে যেমম আগাছা গঞ্জিয়ে ওঠে, প্রথার প্রশ্রয়ে কিংবা লোক-বিভ্রান্তির ফলে আমাদের কাব্য-মহাদেশে তেমনি দেখা দিয়েছে অভ্যাস-লালিত অ-কবিতার অরণ্য । তারা আমাদের কাব্য-বিচার-বুদ্ধিকে বিভ্রান্ত করে তুল্ছে। কথাটা প্রমাণ করবার জন্যেই কিঞ্চিৎ নমুনা] পরিবেষণ করা চাই । পুরোনো আমলের প্রসিদ্ধ কাব্য থেকে এইরকম অ-কবিতার একটু নমুনা দেওয়া গেল-_ &



Leave a Comment