তারাশঙ্কর | Tarashankar

তারাশঙ্কর ৩ “আমার লাহিত্য জীবন” তাঁর পরিণত ব্য়দের আত্মকথা। তেরশ' ato লালের শ্রাবণ মাসে বইখানির প্রথম সংস্করণ বেরিয়েছে। গল্পে উপস্তাসে FS} লেখকের প্রতিষ্ঠা অর্জন করেও তিনি যে তার ছেলেবেলার কাব্যচর্চার কথা ভুলতে পারেননি, তার প্রমাণ আছে তার এই আত্মকথার পাতায় পাতায়। Wea হয়।কবি হয়ে আত্মপ্রকাশ করবারই বাকুলতা ছিল তারাশস্করের ৷ কিন্ত সরম্বতী তাকে অন্য পথে এগিয়ে দিয়েছিলেন। শুধু ছেলেবেলার কাচা কাব্যোচ্ছবাসের জন্যেই যে তাকে কবি বলে মানতে হয়, তা নয়। sews যুক্তি-তথ্য-বিচারের রাজ্যেও তার লেখার মধ্যে ক্ষণে ক্ষণে দেখা দেয় টুকরো টুকরো কবিতা,--কখনো পরিহাসের চমক, কখনো বা গভীর আবেগ «Sta প্রসিদ্ধ একখানি উপস্তাসের নাম tate’ Lata আউল, বাউল, তন্ত্রসাধক ater কবির মধ্য দিয়ে কবিত্বের যে safe, গ্রাম্য ধারাটি স্থদূরকাল থেকে নেমে এসেছে, তারাশঙ্কর সেই ধারারই মানুষ রাঢ়ের কাকুরে মাটি, শাক্ত-বৈষ্ণব ধর্মসম্প্রদায়ের আচার আর বিশ্বাস,-গ্রাম, নদী, মাঠ, জঙ্গলের পরিবেষ্টলীর মধ্য দিয়ে কবিদ্বকে তিনি ভার নিজের করে নিয়েছেন। সে কবিত্ব গ্রাম্য, কিন্তু asian নিজের ‘ofa’ উপসন্তাসের নায়ক নির্বাচন সম্বন্ধে তিনি লিখেছেন, 'আমাদের গ্রামে বাউড়ীদের মধ্যে ডোমেদের মধ্যে কত কবি আছে। তাদেরই একজনকে নিয়ে আমার মানস সরোবরে স্মান করিয়ে আমার “কবি” Barer নায়ক হিসাবে অভিষেক করেছি। এই বাক্-ভঙ্গির মধ্যে তার কবিওয়ালা-ভাবটিও দৃশ্যমান! “মানস সরোবরে Wa করানোর সমারোহ-ভঙ্গি,--কিংবা উপন্যাসের নায়ক-নির্বাচনের কথা বলতে গিয়ে নায়ক হিসাবে অভিষেক করেছি'--এই আড়ম্বরের aire দেখাবার রুচি আধুনিক বাংলা সাহিত্যে দ্বিতীয় আর কোনে! গদ্ঠ-লেখকের মধ্যে খুজে পাওয়া শক্ত। তারাশসঙ্করের লেখায় এ রকম ভঙ্গি বার বার চোখে পড়ে। এ যেন কতকটা বন্ষিমচন্দ্রের বিকৃতি, For! কবিওয়ালার উচ্ছ্বাস! ‘frais’ আর উচ্ছ্বাস? ছাড়া অন্য শষ মলে আসছে না। একালের হাওয়াতে সেকালের এই ভাবোচ্ছাসের প্রক্ষেপ সজাগ পাঠকের কানে লাগে বই কি! সেটাই প্রত্যাশিত। তারাশঙ্কর নিজেও সে বিষয়ে সচেতন। স্থখ-দুঃখের মিশ্র-অনভূতি দিয়েই তিনি লিখেছেন : 'বাংল। দেশটাই কবির দেশ। কবি অনেক আছে, কবির কাবা