হিমালয় [খণ্ড-১] | Himalaya [Vol. 1]

বই থেকে নমুনা পাঠ্য (মেশিন অনুবাদিত)

(Click to expand)
“এ কি! দাঁড়িয়ে রইলেন কেন, চলুন | অনেকটা পথ যেতে হবে ।” স্বপন তাগিদ দেয়। ফতেপুর সিক্রী অদৃশ্য হয় আমার মানসপট থেকে । মিলিয়ে যায় cared শতাব্দী । আমি ফিরে আসি বিংশ শতাব্দীর গোমুখীতে | গোমুখী তীর্থযাত্রীর শেষ কিন্তু পর্বতাভিযাত্রীর শুরু । তাই স্বপন তাগিদ দিচ্ছে | গোমুখীর সামনে দাঁড়িয়ে থাকার সময় নেই আমার | আমাকে যেতে হবে এগিয়ে দুর্গম তীর্থ ছাড়িয়ে দুস্তর হিমালয়ে। দীড়িয়ে থাকার সময় নেই, তাই চলতে শুরু করি। চলেছি চতুরঙ্গীর অঙ্গনে, আমাদের ASHE অভিযানের মূল-শিবিরে | চতুরঙ্ণী হিমবাহ গোমুখী (১২,৭৭০ফুট) থেকে প্রায় মাইল ছয়েক পূর্বে গঙ্গোত্রী হিমবাহে এসে মিলিত হয়েছে। সেই সঙ্গমেই স্থাপিত হবে আমাদের মূল-শিবির | আমরা মূল-শিবিরে চলেছি। চলেছি চতুরঙ্গীর অঙ্গনে | চলতে থাকি, কিন্তু ভাবনা বন্ধ হয় না। চতুরঙ্গী বা সতপছ্থ নয়, গোমুখীর ভাবনা | দূর থেকে গঙ্গার উৎসকে গরুর মুখের মতো দেখায় | কবে থেকে, তার কোন ইতিহাস নেই | ইতিহাস বলে--মহামতি আকবর একজন হিন্দু পরিব্রাজককে পাঠিয়েছিলেন এই উৎস দেখতে | বিস্মৃত অতীতের পরে, এই উৎস-দ্বারে সেই সম্ভবতঃ মানুষের প্রথম পদক্ষেপ | আর আশ্চর্য, আপাতদৃষ্টিতে দূর থেকে আজও সে দেখতে গরুর মুখের মতো । গঙ্গার উৎস CATA | সেকালে সবাই বলত, একালেও বলে | কিন্তু কথাটা সত্য নয়। গঙ্গা নয়, ভাগীরথী-গঙ্গার একটি ধারা । অলকানন্দা, মন্দাকিনী ও ভাগীরথীর মিলিত ধারা গঙ্গা। অলকানন্দা সৃষ্ট হয়েছে বট্রীনাথের উত্তর-পশ্চিমে AM খড়ক ও অলকাপুরী পর্বতশ্রেণীর সানুদেশ থেকে৷ খড়ক শব্দের অর্থ হিমবাহ ৷ Af খরক সতপন্থ শূঙ্গের অপর পাশে অর্থাৎ পূর্বদিকে অবস্থিত | সেদিক থেকে শৃঙ্গে আরোহণের পথ নেই 1 তাই বষ্রীনাথ না গিয়ে গঙ্গোত্রী এসেছি_চলেছি চতুরঙ্গীর অঙ্গনে | ASA প্রায় মাইল ছয়েক দক্ষিণ-পূর্বে গঙ্গোত্রী হিমবাহ Go উচ্চতম শৃঙ্গমালা চৌখাম্বা-চারটি CHT এক HOST পর্বত-প্রাচীর | উচ্চতম শৃঙ্গটি ২৩,৪২০ ফুট UH | ১৯৫২ সালে এক ফরাসী অভিযাত্রীদল এই শৃঙ্গে আরোহণ করেন | সাত বছর বাদে ১৯৫৯ সালের ১৭ই অক্টোবর এয়ার FAG এস. এন. গয়ালের ww ETH সর্বশ্রী এ. কে. চৌধুরী, পি. সি. চতুর্বেদী, সি. পি. রাওয়াত ও পাসাং দাওয়া লামা এই দুর্গম শিখরে ভারতের জাতীয় পতাকা প্রোথিত করেন | গঙ্গোত্রী হিমবাহ সৃষ্ট হয়েছে সেই চৌখাম্বা শৃঙ্গমালার তুষারপ্রবাহ থেকে | তারপরে প্রবাহিত হয়েছে উত্তর-পশ্চিমে। এটি গাড়োয়াল হিমালয়ের দীর্ঘতম হিমবাহ-১৬ মাইল ৷ এশিয়ার দীর্ঘতম হিমবাহ কারাকোরামের সিয়াচেন-৪৫মাইল | আর মেরু-অণ্যলে রয়েছে বিশ্বের বৃহত্তম হিমবাহ-দৈর্ঘ্য প্রায় ৮০ মাইল । বলা বাহুল্য ANC পর্বতশৃঙ্গ থেকে ছোট-বড় AQ হিমবাহ এসে গঙ্গোত্রী হিমবাহকে সমৃদ্ধ করেছে। গঙ্গোত্রী হিমবাহের দুদিকেই দাঁড়িয়ে রয়েছে নানা পর্বতশ্ঙ্গ। পশ্চিমদিকে রয়েছে মন্দানী পর্বত ২০,৩২০), FAY পর্বত (২০,৭৭০), খর্চাকুণ্ড ২১,৬৯৫), ভারতখুৃণ্টা (২১,৫৮০), MEWS (২০,৫১০), কেদারনাথ পর্বত (২২,৭৭০) ও শিবলিঙ্গ (২১,৪৬৬) | মন্দনী থেকে মন্দানী AIS, WIFE থেকে গনহিম বামক ও কীর্তিস্তম্ত থেকে কীর্তি বামক এসে পড়েছে গঙ্গোত্রী হিমবাহে 1 বামক শব্দের অর্থও হিমবাহ ৷ গঙ্গোত্রী হিমবাহের পূর্বে যে 8



Leave a Comment