বাংলার নাটক ও নাট্যশালা | Banglar Natak O Natyashala

বই থেকে নমুনা পাঠ্য (মেশিন অনুবাদিত)

(Click to expand)
পুরাতন গ্রাস না ঘটিয়েছিলেন ! তাঁরা সৌখথীনই ছিলেন, কিন্তু সখকে করে' নিয়েছিলেন A | আজকাল যেমন সরকার থেকে কালচুরাল ডেলিগেশন পাঠানো হচ্ছে, তখনকার দিনে যে eT ডেলিগেশন পাঠানো হত, তার TR. কোন নিদর্শন ct) ব্যক্তিগত ভাবে এবং দল বেঁধে নান| উদ্দেশ নিয়ে অথবা রেফিউজী হিসেবে, ব্যবসা-বাণিজ্যে fie হয়ে, বহু ভারতবাদী, বৌদ্ধ ও ব্রাহ্মণ্যমতাবলম্বী গৃহী, ভিক্ষু, মল্ন্যাসী, শিক্ষক ও শিক্ষার্থী দলে দলে ভারত ত্যাগ করে চলে গিয়েছিলেন। -তারাই ভারতীয় নৃত্য-নাটককে রূপ দিয়েছিলেন দেশে দেশে। তাঁরা attest ছিলেন, কিন্তু সাধনারও পরিচয় রেখে গেছেন। তাঁরা নাট্যাভিনয়কে বৃত্তিই করে নিয়েছিলেন, বাধীও প্রচার করেছিলেন--কেবল রামায়ণ মহাভারতেরই বাণী নয়, বুদ্ধের মানব স্বাধীনতার বাণী, ভারতীয় অশিক্ষিত জনগণের সহজাত স্বাধীন প্রগতিরও বাণী । তবেই না তা পূর্ব-এশিয়ার মুক্তিকাম মানুষের চিত্ত জয় করতে সক্ষম হয়েছিল | সেই সৌথীন নাটুকেরা যদি না তাদের. লাধনালন্ধ শক্তি নিয়ে বাণী প্রচারে অগ্রসর হতেন, যদি পরমুখাপেক্ষী থাকতেন, তাহলে তারা এ-কাজ করতে পারতেন না। তারা ওকে বৃত্তি করে নিয়েছিলেন ওকে খর্ব না করে, বিকৃত না করে; ওকে রুজি-রোজগারের উপায় করে নিয়েছিলেন বলেই নিশ্চিত করে জেনেছিলেন বিদেশ-বিভূু'ই হলেও দিন তাঁদের চলে যাতে, অনশনে মরতে হবে না। ভরসা! যেমন ছিল নিজেদের বাণীর ওপর, তেমন ভরসা ছিল বিদেশীদের মুক্তি-পিপালার ওপর, রস-বোধের ওপর | দেশের সীমানার মাঝেও যুগে যুগে কত আউল-বাউল, কথক-কীর্তনীয়া, কৃত রামায়ণ-পাচালীর গাইয়ে, কত কবি-তরজার পরিবেশক, কত মঙ্গল- ভাসান-জারি-যাত্রার নাটুকে ব্যক্তিগতভাবে বা সম্প্রদায়গতভাবে সারা! দেশে মানুষের প্রগতির, উন্নতির, মুক্তির বাণী প্রচার করে ফিরেছেন | মানুষের মনে- মনে যুগে-যুগে যত He, যত গ্লানি, যত হতাশ, যত অজ্ঞানতা জমে উঠত, ওই নাটুকেরা তার সংস্কার করে দিতেন, জন-মনে উধ্বলোকের আলো ঢেলে দিতেন । তারই ফলে ভারতের fers জনগণ অজ্ঞ রইল না; eH আভিধানিক অর্থ বুরতে না পেরেও আলংকারিক-ধ্বনি গুনেই বিষয়ের ৫



Leave a Comment