নরেন্দ্রনাথ মিত্র রচনাবলী [খন্ড-২] | Narendranath Mitra Rachanabali [Vol. 2]

চেনা মহল ৭ বলল, 'আজ কি হবে জানো ঠামা ?” ভুবনময়ী বললেন, “এই মুখ মরা, মুখ সরা। অমন করিস নে FR আমার স্ুড়ন্তড়ি লাগে P এপাশে ওপাশে নাতি-নাতনীর দল খিল খিল করে হেসে উঠল। BEATS কথাটাই তাদের স্তড়ন্তড়ি দিয়েছে। মিণ্ট, কিন্তু মূখ সরাল না। ঠাকুরমার কানের সঙ্গে মুখ লাগিয়ে তেমনি ফিস ফিল করেই বলল, “জানো ঠামা আজ নাস্তদা আসছে | দিল্লী থেকে নান্তদ আসছে আজ | মনে আছে তোমার 1” ভুবনময়ী বললেন, “Al আমার মনে নেই, তোমার আছে | রাত তিনটেয় ঘুম ভাঙতেই সে কথা আমার মনে পড়েছে। নাস্ত আসবে, সে কথা আমার মনে নাই? শোন কথা! অস্ত সন্ত টুলু বুলুর দল কল্‌ কল্‌ করে উঠল, “আমাদের সকলেরই মনে আছে। নাস্ত। আসবে, সে কথা কালও তো আমরা বলাবলি করতে করতে ঘুমালাম। FAG col আগে ঘুমিয়ে পড়েছিল ।' fab, প্রতিবাদ করল, “এই মিথ্যে কথা বলবি নে, ভুবনময়ী ধমক দিলেন, হ্যা, এই নিয়ে ঝগড়া কর মন্কালবেলা। আর সারাদিন মারামারি কাটা-কাটি করে মর। একট] ভালো কথা, কি কোন ঠাকুর-দেবতার নাম তো কোনদিন মুখে নিয়ে উঠবি নে। বাপ-মার যেমন শিক্ষে, তেমন তো হবে। আর তোদের পাল্লায় পড়ে, তোদের সঙ্গে থেকে আমারও জপ-তপ, শিক্ষা-দীক্ষা সব গেছে।' বিছানা] ছেড়ে এবার উঠে পড়লেন ভুবনময়ী | . ফের তাড়া দিলেন নাতি-নাতনীদের, 'আর গড়াগড়ি করিস নে। ওঠ এবার, উঠে বিছান] তোল ॥ খিল খুলে ভুবনময়ী বেরুলেন ঘর থেকে। সামনেই মেয়ের সঙ্গে CHA | দোতলা থেকে ভুবনময়ীর মেয়ে বাসস্তী নেমে এসেছেন। মেয়েকে দেখে তুবনময়ী একটু যেন থমকে দাড়ালেন, “ও বাসি, তুই আবার এত ভোরে উঠলি কেন | তোর না শরীর থারাপ। জর জর হচ্ছে ক'দিন ধরে! কেন উঠলি তুই । যা আর একটু ya as ct a তেতাল্লিশ Bera চুয়াল্লিশে পা দিয়েছেন বাসস্তী। তাঁর বড় ছেলের বয়সই এখন ছাব্বিশ। কিন্তু মার ধমকাবার ধরন দেখ ৷ বাসস্তী যেন এখনও তের চোদ্দ বছরের সেই ছোট্ট মেয়েটি রয়ে গেছেন। অনময়ে বিছানা থেকে উঠে এসেছেন বলে মা ফের তাই ধমকে OCS পাঠাচ্ছেন ঘরে। না, সেই ছোট্টটি তিনি আর নেই! অনেক WA হয়ে গেছে। যতটা না a হয়েছে তার চেয়ে বেশি বুড়ো দেখায়। এমন কি স্বামী অবনীমোহন পর্যন্ত