হাড় কাঁপানো ভুতের গল্প | Har Kapano Bhuter Galpo

বই থেকে নমুনা পাঠ্য (মেশিন অনুবাদিত)

(Click to expand)
নিয়েই হোক, মহেশ আর হরিনাথ কথাটা টেনে নিয়ে ভূতে আর ভগবানে হাজির করতেন, কারণ এই নিয়ে তর্ক করাই তীঁদের অভ্যাস। এদিনও তাই হয়েছিল। আলোচনা শুরু হয় ঝি-চাকরের মাইনে নিয়ে। কলেজের পণ্ডিত দীনবন্ধু বাচ স্পতি মশায় দুঃখ করছিলেন-_“ ছোটলোকের লোভ এত বেড়ে গেছে যে আর পেরে ওঠা যায় না।” মহেশবাবু বললেন-_“ লোভ সকলেরই বেড়েছে, আর বাড়াই উচিত, নইলে মনুষ্যত্বের বিকাশ হবে কিসে ।” পণ্ডিতমশায় উত্তর দিলেন--_'“লোভে পাপ, পাপে মৃত্যু” মহেশবাবু পালটা জবাব দিলেন-_“ লোভ ত্যাগ করলেও মৃত্যুকে ঠেকানো যায় না।” তর্কটা তেমন জুতসই হচ্ছে না দেখে হরিনাথবাবু একটু উসকে দেবার জন্য বললেন-_“'আমাদের মতন লোকের লোভ হওয়া উচিত মৃত্যুর পর। মাইনে তো পাই মোটে পৌনে YON, তাতে ইহকালের কপ্টা শখই বা মিটবে। তাইতো পরকালের আশায় বসে আছি, আত্মাটা যদি স্বর্গে গিয়ে একটু ফুর্তে করতে পারে।' দীনবন্ধু পণ্ডিত বললেন-_“ কে বললে তুমি স্বর্গে যাবে? আর স্বর্গের তুমি জানই বা কী?” FMS জানি পণ্ডিত মশায়। খাসা জায়গা, না গরম না ঠাণ্ডা। মন্দার্কিনী Pepe বইছে, তার ধারে ধারে পারিজাতের ঝোপ। সবুজ মাঠের মধ্যিখানে কল্পতরু গাছে আঙ্গুর বেদানা আম রসগোল্লা কাটলেট সব রকম ফলে আছে, ছেঁড় আর খাও! জন-কতক ছোকরা-দেবদূত গোলাপী উড়নি গায়ে দিয়ে সুধার বোতল সাজিয়ে বসে রয়েছে, চাইলেই ফটাফট খুলে দেবে। ওই হেথা কুঞ্জবনে ঝাকে ঝাঁকে অক্সরা ঘুরে বেড়াচ্ছে, YS রসালাপ কর, কেউ কিছু বলবে না। যত খুশি নাচ দেখ, গান শোন। আর কালোয়াতি চাও তো নারদ মুনির আস্তানায় যাও ।' মহেশবাবু বললেন-_“সমস্ত গাঁজা। পরলোক আত্মা Wo ভগবান কিছুই নেই। ক্ষমতা থাকে তো প্রমান FAY’ তর্ক জমে উঠল। প্রফেসররা কেউ এক পক্ষে কেউ অপর পক্ষে দাঁড়ালেন। পণ্ডিত মশায় দারুণ অবজ্ঞায় ঠোট উলটে বসে রইলেন। বৃদ্ধ প্রিনসিপাল যদু ACSA TA করে বললেন-_-'ভূতের তেমন দরকার দেখি না, কিন্তু আত্মা আর ভগবান বাদ দিলে চলে না।” মহেশ মিত্তির বললেন-_“ কেউ-উ নেই, আমি ১৬



Leave a Comment