For Complaints/Suggesstions related to this material, please clickHere
বই থেকে নমুনা পাঠ্য (মেশিন অনুবাদিত)
(Click to expand)এর ফলে প্রকৃতি-জ্ঞান আরও বাড়ে। পাখিব আনন্দবোধ জন্মায়
আরও বেশী করে। স্থূল বস্তুদেহ থেকে WHS সেই বোধের সঞ্চার হতে থাকে । এই WH বস্তু হল অস্তঃকরণের, যার মধ্যে আছে
মন, অহংকার ও বুদ্ধি। এই অস্তঃকরণের ত্রয়ী বন্ধন হল কঠিনতম
বন্ধন । সেইজন্য যোগ বলেছে যে, আত্মাকে দেহ বলে ভাবলে ভুল
হবে | তাকে ইন্দ্রিয়, মন, অহংকার বা বুদ্ধি বললে চলবে না । প্রকৃতির
যে আবরণ বা কোষ আত্মাকে আচ্ছাদিত করে রেখেছে তাকে ভেদ করে
জানতে হবে তার WA | উপনিষদের সেই কথা বলেছে যোগস্থত্রও_
আত্মানং fafa | এখন প্রশ্ন হল আত্মাকে জানা যাবে fe করে ? কেমন করে
আমরা জানব যে, দেহ, মন, ইন্দ্রিয়, অহংকার ও বুদ্ধি এ-সবের বাইরে
আত্মা এক স্বতন্ত্র জ্যোতিদ্মান অস্তিত্ব? আত্মা যদি সচেতন হয়, তা
থেকে যদি পাথিব সত্তার জ্ঞান আহরণের উপাদানগুলি একে একে
ঝরে যায় তাহলে পরম চৈতন্তযের আর অবশিষ্ট থাকে কি ? দেহ ছাড়া
এবং মন বুদ্ধি ইত্যাদি ছাড়। আত্মা কাজ করবে কি করে? কি করে
বুঝব যে, যদি পাখথিব সত্তার চৈতন্য-প্রবাহে সমস্ত উপাদানগুলিই
শুকিয়ে যায়, মরে যায়; তাহলে আত্মার থাকে কোন স্বতন্ত্র অস্তিত্ব ?
আত্মা মেখানে অস্তিত্বহীন হয়ে পড়ে নাকি? যোগশান্ত্র বলে যে,
পাথিব উপাদানগুলি নিষ্ক্রিয় হয়ে পড়লেও আত্মা হয়ে যায় না৷
অস্তিত্বহীন । সে তখন জ্বলতে থাকে নিজস্ব জ্যোতিতে । তখনই হয়
বিবেকথ্যাতি । অনাজ্মিক অর্থাৎ যা আত্মার অবিচ্ছেদ্য অংশ, নয় সেই
প্রকৃতি নিষ্ক্রিয় হলে তবেই আত্মার নিজস্ব জ্যোতি ফুটে ওঠা সম্ভব৷
আত্মা যেন একখণ্ড পাথর। তার মধ্যে যে মূতি Boia আছে, তাকে
কখনও দেখা যাবে না, যতক্ষণ পর্যন্ত না কোন শিল্পী অবান্তর
অংশগুলিকে কুঁদে কুঁদে ফেলে দিচ্ছে। আত্মাকে আচ্ছন্ন করে থাকে
প্রকৃতির এই অবান্তর Al! APN AS অবাস্তর অংশকে ফেলে
দেবার হাতুড়ি বাটালির কাজ করে। এই কাজ হলে তথনই দেখা ১২