দেবতা দর্শন | Debata Darshan

বই থেকে নমুনা পাঠ্য (মেশিন অনুবাদিত)

(Click to expand)
প্রবাহে সবকিছুই নিত্য পরিবর্তনশীল। নটরাজের দেহ ও অপ্গপ্রতাঙ্গের প্রত্োকটির ভিন্ন ভিন্ন অর্থ এই ধরনের : তার সকল দেহভঙ্গিমায় যে ভয়ঙ্কর ভাব ও প্রশান্তি ফুটে উঠেছে তাতে বিশ্বনিখিলের মায়াই প্রকটিত হয়েছে। তার তরঙ্গায়িত হস্তভঙ্গিমা ও পদদ্বয় এবং মোচড় খাওয়া মধাদেহ বিশ্বব্রদ্যাণ্ডে অক্লান্ত জন্ম-মৃত্যুর কথা ঘোষণা করছে। দুই হাতে রয়েছে জন্ম ও মৃত্যুর সাম্যাবসথা। অপর দুই হাতের এক হাতে ধ্বংস ও অপর হাতে সৃষ্টির ইঙ্গিত। দক্ষিণ উর্ধ্ব হস্তে রয়েছে ডম্বর। এই CXF হল Big ট৪৪178-এর বিস্ফোরণের শব্দ--ওঁ। এই ওঁ- দ্বারাই জগৎ সৃষ্টি, হয়েছে। উর্ধ্ব বাম হস্ত যাতে ধৃত রয়েছে লেলিহান অগ্নিশিখা-- তা মৃত্যুর সূচনা করছে। হাত দুটি এমন ভাবে প্রসারিত যে, তাতে গতিময় ব্রহ্মাণ্ডের জন্ম ও মৃত্যুর সাম্যাবস্থা বুঝায়। মধাস্থলে নটরাজের যে প্রশান্ত ও নিরাসক্ত মুখমণ্ডল দেখানো হয়েছে তাতে এ ইঙ্গিতই প্রকটিত হয়েছে যে, জন্ম ও মৃত্যুকে অতিক্রম করে wie একটি উত্তরণীয় অবস্থা আছে-_-যাতে মেরুপ্রান্তিক বৈপরীত্য তার সকল প্রকার পার্থক্য হারিয়ে ফেলে। দ্বিতীয় দক্ষিণ হস্ত এমন ভাবে Tere হয়েছে যাতে “ভয় পেওনা” এমন একটা ভাব প্রকাশ পেয়েছে। এই ভঙ্গিমা আরও বোঝাবার চেষ্টা করছে যে, এই হাত রক্ষা করবে ও শান্তি দেবে। নিম্ন বাম হস্ত উত্থিত বাম চরণের face নির্দেশ করছে। এতে এটাই বোঝাবার চেষ্টা করা হয়েছে যে, মায়া থেকে মুক্তি পাওয়া যাবে। দেখা যাচ্ছে, নটরাজ একটি দৈতাপুৃষ্ঠে নৃত্যরত। এই দৈত্য হল মানুযের অজ্ঞানতা। মোক্ষের জন্য এ অজ্ঞানতাকে জয় করতে হ্‌বে। মহারাষ্ট্রের এলিফান্টা গুহার শিবের মূর্তিতে তিনটি বৈজ্ঞানিক তত্ত্ব প্রকাশিত হয়েছে। দক্ষিণ দিকে তার মুখ পুরুষের মুখ--বিজ্ঞানে 10101-এর প্রতীক। বাম দিকে মহিলার মুখ--বিজ্ঞানের চা60001-এর প্রতীক। মাঝখানে প্রশাত্ত মুখে দুইয়ের সাম্যাবস্থা719র0017-এর প্রতীক। ' কুদ্রকে বহিরাগত বলে মনে করা হলেও খথ্বেদে খুব একটা গৌণ দেবতা নন। ACA কোন্‌ দেবতার উদ্দেশে কতগুলি AS রচনা করা হয়েছে তা দিয়ে কারো গুরুত্ব প্রমাণ হয়না। এই প্রাচীন ধর্মগ্রসই্থটির অনেক কিছুই সূক্তগুলির আড়ালে লুকিয়ে আছে। দেবতাদের গুরুত্ব বিচার হয় তারা যে ধরনের কাজ করেন তাই দিয়ে। এদিক থেকে খথ্বেদে রুদ্র একটি পিতৃপ্রতিম চরিত্র। অন্যান্য বহু দেবতারই তিনি পিতা। ঝড়ের দেবতা ও মরুৎ দেবতারা রুদ্রেরই AST রুদ্র এখানে উগ্র নন। অনেকে রুদ্রকে জ্যোতির্বিজ্ঞালীয় একটি ব্যাপার বলে মনে করেন। মৃগব্যাধ TRACTS তারা রুদ্র বলে মনে করেছেন। রুদ্রকে অনেকে ব্রাত্য বলেও মনে করেন। এ-জন্য দায়ী একটি পুরাণ- কাহিনী-_ যেখানে রুদ্র দক্ষযজ্ঞ নাশ করেছিলেন। এই গল্পে শিব যজ্ঞনাশকারী ২০



Leave a Comment