ভারতচন্দ্র ও রামপ্রসাদ | Bharatchandra O Ramprasad

বই থেকে নমুনা পাঠ্য (মেশিন অনুবাদিত)

(Click to expand)
॥1৩/০ (২) বাংলা সাহিত্যের ইতিহাসে অষ্টাদশ শতকের একটি বিশেষ তাৎপর্য আছে | এই শতকে বাংলার রাজনৈতিক গগনে faves অভ্যু্থান হয় ও উহার সংস্কৃতির বিবর্তনে আধুনিকতার ons ঘটে। কিন্তু পাশ্চাত্ত্য ভাবারা' সহিত প্রত্যক্ষ সংযোগের পূর্বেই অষ্টাদশ শতকের প্রথম হইতেই একটি তাৎপর্যপূর্ণ ভাবপরিবর্তনের পূর্বা ভাস দৃষ্ট হয়। মনে হয় যেন দেশের ও জাতির বিধা তা"পুক্ুষ দেশকে পূর্ব হইতেই SIAR রূপান্তরের জন্য প্রস্তুত করিতে আরম্ভ করিয়াছেন। প্রভাতের পূর্বে যেমন আলো-মন্ধকারে জড়িত, তন্দ্রাঘোরের মধ্য অর্ধজাগরণের ইঙ্জিতবাহী Gaia উদয়, তেমনি সাহিত্যের নবজাগরণের পূর্বে তাহার একটি অস্ফুট, অর্ধসচেতন ভাবান্তর cra দিয়া থাকে । Att শতকে ভারতচন্দ্র ও রামপ্রসাদ উভয়েই কোন-না-কোন দিক দিয়া আধুনিকতার অগ্রদূতকর্ূপে গণ্য ₹ইতে পারেন । ভারতচন্দ্র বিশেষ করিয়৷ এক অভিনব বাস্তববোধের, এক TSA সমাজআ-দচেতনতা ও GF, মোহমুক্ত স্বচ্ছছৃষ্টর, জীবন-পযালোচনার এক WH স্বকীয়তার জন্য আধুনিকতাধর্মা। ভারতচন্গ্রের পূর্বে বিদ্যাপতি ও মুকুন্দরামের মধ্যেও এই আধুনিক বাস্তবতার za শোনা যায়, কিন্তু উভয়েই এক ভাবমুগ্ কাবাপ্রথান্গুবর্তনের পরোক্ষতায় এই প্রবণ তাটির পূর্ণ aya করিতে পারেন নাই। বিদ্যাপতির যুগে বৈষ্ণব পদাবলী সাহিতে/র প্রথম আরম্ভ; মুকুন্দরামের যুগে মঙ্গলকাব্যের পূর্পপরিণতি। তাহাদের পর্যবেক্ষণশক্তি প্রশংসনীয় হইলেও ইহা দৃঢ়প্রতিঠঠিত প্রথাবদ্ধতার বিপরীত স্রোতের বিরুদ্ধে বেশী দূর অগ্রদর হইতে পারে নাই ।* বিদ্যাপতি চোখে যাহা লক্ষ্য করিয়াছেন তাহা অতীন্ত্রিয় রূপ- আরাধনার অগপ্্যনূপে নিয়োজিত করিয়াছেন; তাহার বয়ঃসদ্ধিস্থলে Grate গ্রাম্য কিশোরীর মধুর, আত্মসচেতন প্রগল.ভতা, আসন্ন যৌবনের অপরিক্ফুট লাবণ/-হিল্লোল অধ্যাত্ম-অন্ভুতির নিবিড় ভাবরোয়াঞ্চে রূপাস্তরিত হয়, রূপ- সমুদ্রের কল্লোলিত চঞ্চলতার উপর অরূপলোকের রহস্তযঘন গোধূলি-স্তব্ধত] নামিয়৷ আসে । মুকুন্দরামের ভক্তি অবশ্য ঠিক আধ্যাত্মিক ভাবসাধনার ATIC উঠে নাই-ইহাতে দৈবশক্তির অলৌকিক লীলার wala প্রাকৃত মানবের আদিম সরল বিশ্ময়ই ফুটিয়া উঠিয়াছে, ইহাতে সাংসারিক সুখ-স্বাচ্ছন্দ্য- প্রতিষ্ঠার বিনিময়েই আত্মনিবেদনের প্রেরণা জাগিয়াছে। তাহার চণ্ডী লৌকিক জীবনের দেবী; সুতরাং সমাজ-জীবনের সরদ উজ্জ্বল চিত্র তাহার দেবমহিমা



Leave a Comment