শ্রী শ্রী ঠাকুর অনুকূলচন্দ্র জীবনী ও কথামৃত | Sri Sri Thakur Anukulchandra Jibani O Kathamrita

বই থেকে নমুনা পাঠ্য (মেশিন অনুবাদিত)

(Click to expand)
দিয়েছেন। সেই সামান্য ফ্যানভাত কী মিষ্টি যে লাগত তা বলে বোঝান যাবে না। মায়ের হাতের দেওয়া যেকোন জিনিসই বড় মধুর লাগত। মা যখন নাম করতেন তখন বড় ভাল লাগত। আবার যখন সারাদিন পরিশ্রমের পর প্রার্থনায় বসতেন তখন মায়ের পায়ের উপর মাথা রেখে বার বার প্রণাম করতে ইচ্ছা হতো। অনুকূলচন্দ্রের বাল্যসঙ্গী PAPI HG | পরবর্তীকালে ম্যাজিস্ট্রেট হন। বাল্যকালে অনুকূলচন্দ্র তাকে আদর করে ভাসনা বলে ডাকতেন। অবসর প্রাপ্তির পর কৃষ্ণকমলবাবু তার বাল্যকালের Bory করে খেলার সাথী অনুকূলচন্দ্রের ছেলেবেলার কয়েকটি কথা অনেকের কাছেই প্রকাশ করেন। তিনি বলতেন, ছেলেবেলায় অনুকূল ছিল খুবই সরল প্রকৃতির ও বুদ্ধিমান। তার পরিচালনাশক্তি ছিল অসাধারণ। তার এমনই ব্যক্তিত্ব ছিল যে আমরা আমাদের ছেলেদের দলের মধ্যে তাকেই প্রধান করেছিলাম এবং তার কথা সবসময় মেনে চলতাম। খেলার সাথীদের মধ্যে কোন বিষয়ে ঝগড়া বাধলে অনুকূল তা মিটিয়ে দিত। সে সব কিছুর শান্তিপূর্ণ ভাবে মীমাংসা করে দিত। ছেলেরাও তার কথা মেনে নিত। এইভাবে ভবিষ্যতে ঠাকুর অনুকূলচন্দ্রের অসাধারণ পরিচালিকা শক্তির আভাস তার বাল্যকালেই পাওয়া যায়। ৩ বালক অনুকূলচন্দ্রের বয়স যখন মাত্র পাঁচ তখন তার হাতেখড়ি হয়। তারপর বাড়ির কিছুদূরে কাশীপুর হাটে কৃষ্ণচন্দ্র বৈরাগী নামক জনৈক গুরুমহাশয়ের পাঠশালায় তার বিদ্যারম্ত হয়। এই পাঠশালায় দু বছর পড়ার পর তিনি কাশীপুর গ্রামের ব্রজনাথ কর্মকার ও ভবানীচরণ পাল এই দুই প্রবীণ শিক্ষকের কাছে কিছুকাল বিদ্যাভ্যাস করেন। এরপর ১৩০৫ সালে তার বয়স যখন দশ তখন পাবনা শহরে পাবনা ইনস্টিটিউশন নামক এক উচ্চ ইংরাজী বিদ্যালয়ে তাকে ভর্তি করা হয়। বাড়ি থেকে প্রতিদিন তাকে হেঁটে পাবনার স্কুলে যেতে হত। এরপর এগার বছর বয়সে বালক অনুকূলচন্দ্রের শুভ উপনয়ন সংস্কার সম্পন্ন হ্য়। পিতামাতার প্রথম সম্ভান ও দিদিমার অতি আদরের দুলাল ছিলেন বলে অল্পবয়সেই বিবাহবন্ধনে আবদ্ধ হতে হয় অনুকূলচন্দ্রকে। ১৩১৩ সালের ২৮শে শ্রাবণ আঠার বছর বয়সে পাবনা জেলার সিরাজগঞ্জ মহকুমার অস্তর্গত ধোপাদহ গ্রাম নিবাসী রামগোপাল ভট্টাচার্য মহাশয়ের প্রথমা কন্যা দ্বাদশ বর্ষীয়া সরসীবালাদেবীর সঙ্গে তার “4 ১৬



Leave a Comment