পূজা-পার্বণের উৎসকথা | Puja-parbaner Utsakatha

বই থেকে নমুনা পাঠ্য (মেশিন অনুবাদিত)

(Click to expand)
ছুই ॥ দেবতা ও ধর্মের বিকাশে সমাজের ভূমিকা ধর্মের উৎপত্তি যে বছবিচিত্র ভাবেই হোক না কেন, পৃথিবীর সমস্ত সমাজেই তার বিকাশ হয়েছে একই ছকে, মূলত মংশ্লিষ্ট সামাজিক কাঠামোকে অবলম্বন করেই। উত্তরকালে শ্রেণীবিভক্ত সমাজ যখন গড়ে উঠেছে, তথন সমাজের ভাগ্যনিয়ন্তা! গোঠী way নিজেদের স্বার্থেই ধর্মকে সমাজের প্রকৃত নিয়ামক বলে প্রচার করে এসেছে শতাব্দীর পর শতাব্দী । বলা হয়েছে, ধর্ম হচ্ছে এমন একটি অলজ্ঘনীয় বিধান, যা-নাকি সমস্ত সমাঙ-আয়তনকেই ‘aca রাখে”; আব সেই জনই না কি তার নাম ( অন্তত সংস্কৃত ভাষায় ) ধর্ম ! অথচ সভ্যতার ইতিহাস ঠিক এক বিপরীত সাক্ষ্যই দ্রেবে। যখন যেখানে যেমন ভাবে সমাজের কাঠামো গড়ে উঠেছে, তখন সেখানে ধর্মের ভিতর এবং বাইরের ধারণাগুলিও গড়ে তোল হযেছে তার সঙ্গে সঙ্গতি রেখেই। কায়েমী শ্রেণীদ্বার্থের অবিরল প্রচারে ধর্মচেতনারব ওপরে যে দৈব-মহিমাই আরোপ করা হোক না কেন, মুলত ধর্মের বিকাশ ঘটেছে একেবাবে গোডায় অলৌকিকত্বে বিশ্বাস ও ইন্দ্রজাল বা জাদুবিদ্যায় অন্ধ প্রত্যয় থেকে, আর পরবর্তী সময়ে সমাজ্পতিদ্বের শ্রেণীগত স্বার্থ অক্ষুণ্ন রাখার প্রচ্ছন্ন স্থত্র রূপে | মন্তব্যটা একটু বিস্তৃত ভাবে বিচার করা যেতে পারে। . প্রাচীনতম সমাজ ছিল মুলত মাতৃকেন্সিত; বিধিবদ্ধ সামাজিক এবং ব্যক্তিগত সম্পর্ক তখনও মান্য তৈরী করতে শেখেনি বলে একমাত্র মাতৃ-পরিচয়ই ছিল সে সময়ে সুনির্দিষ্ট এবং পিতৃ-পরিচয়ের অনিশ্চিতির ফলে আদ্দিমতম যে-সামাজিক ধর্মবিশ্বাস গড়ে উঠেছিল, তার Ja রূপটা ছিল মাতৃকা-উপাসনা|। প্রত্ প্রস্তর যুগের শেষ পর্বে মধ্য ও দক্ষিণ ইউরোপে, উত্তর আফ্রিকা! এবং পশ্চিম এশিয়ার বিস্তীর্ণ অঞ্চলে steal পূঞ্জা ব্যাপক ভাবেই প্রচলিত ছিল যে, তাঁর Hey পুরাতাত্ববিক নিদর্শন গত এক setts মধ্যে আবিষ্কৃত হয়েছে। প্রত্ততত্বের পরিভাষায় যাদের নাম “ভেনাস”-_সেই রকম afte) নারীমৃতি, যাদের মুখ চোখ পধস্ত ভালভাবে (কিংবা আছে) ) দেখানে হয়নি অথচ মাতৃত্ব- স্থযক দেহলক্ষণগুলি ব্যাপক এবং সুম্পষ্টভাবে চিহ্নিত,কমবেশি ২*,*** বছরেরও পুরোনো, বেশ কিছু সংখ্যায় খুজে পাওয়া গেছে নানান জায়গায়।



Leave a Comment