সৈয়দ মুজতবা আলী রচনাবলী [খন্ড-৮] | Syed Mujtaba Ali Rachanavali [Vol. 8]

বা কু দ্য পালে” হয়ে যাওয়ার পর নানা কারণে সচরাচর জোরদার ট্রান্সমিটার ব্যবহার করা হয় না বা যায় না। অর্থই পরমার্থ কার্ল মার্কস বলেছেন, অর্থনৈতিক কারণ ভিন্ন ইহ-সংসারে কোনো বিরাট পরিবর্তন হয় না। ইংরেজ এই নীতি অবলম্বন করে তার ন্যাশনাল প্যাসটাইম--“জাতীয় চিত্তবিনোদন” প্রতিষ্ঠান ফুটবল-ক্রিকেটকে তার শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান wares কেমব্রিজে সমাসন স্থলবিশেষে উচ্চাসন দিয়ে যে GSTS সমন্বয় সাধন করলো তারই অর্ধশিক্ষিত অর্ধমল্লবীর সম্ভানগণ স্থাপন করলো বিশ্ব জোড়া রাশি রাশি উপনিবেশ। কন্টিনেন্টের তাবৎ বিশ্ববিদ্যালয় ক্রীড়ামোদ তার চতুঃসীমানায় প্রবেশ করতে দিত না। অতএব উপনিবেশ স্থাপন ও তথায় রাজত্ব করার জন্য শিক্ষিত লোক পাঠালে তারা মরতো পটাপট করে ম্যালেরিয়া, কালাজ্ববর, ৎসে ৎসে ফীভার ইত্যাদির নানাবিধ রোগে; পক্ষাস্তরে আখড়া থেকে ধরে ধরে ডানপিঠে গীট্টা-গৌট্টাদের পাঠালে তারা পট পট পটল তুলতো না বটে, কিন্তু পটল ক্ষেতের হিসেবনিকেশ থেকে আরম্ভ করে উপনিবেশের বাজেট, অডিট, আইন-কানুন, এক কথায় দেশ শোষণ করার জন্য যে সিভিল সার্ভিস গড়ে তুলতে হয় তার জন্য নিরঙ্কুশ অনুপযুক্ত। কেউ কেউ তো নামটা পর্যন্ত সই করতে পারতো না। তাই ইংরেজ গলফ্‌ খেলার সময়ই হোক আর রিলেটিভিটি কপচাবার ওক্তেই হোক সব কিছু মা-লম্ষ্মীর আঁচলে বেঁধে দেয়। পাঠানেব বর্ণচোরা সংস্করণের নাম ইংরেজ | পাঠানও তার ন্যাশনাল প্যাসটাইম-_ দু'দশ বছর পর পর কাবুলেব SA থেকে পুরানো বাদশাকে সরিয়ে নযা বাদশা বসানোর জাতীয চিত্তবিনোদনের সময় মার্কস-নির্দিষ্ট নীতি, ইংরেজ কর্তৃক হাতে-কলমে তার ফল প্রাপ্তি, কোনোটাই ভোলে না। “বিআ ব্-কাবুল, বরওম ব্-কাবুল, বিআ ব্-কাবুল বরওয়ীম ব্-কাবুল।। আয় তুই কাবুল, আমি চললাম কাবুল, আয় তুই কাবুল আমরা চলি কাবুল।।” “fia দীন”” রবে ছহুঙ্কার চিৎকার পাঠানের কাছে বিলকুল ফজুল। কাবুল লুট করাতে কি আনন্দ কি আনন্দ! ন্যাশনাল প্যাসটাইমের সঙ্গে অর্থপ্রাপ্তির সমন্বয়। দোনালা-বন্দুক প্রেসিডেন্ট দাউদ খানের সর্বপ্রধান শিরঃপীড়া হবে এই পাঠান Iga পাল। ওদের সামলাতে হলে দরকার ফৌজ। দাউদ খান তাব ভাষণারম্ভে সম্বোধন জানিয়েছেন পেট্রিয়টদের, 'দেশপ্রেমিকদের'--ফাসীতে 'দোস্তান-ই-মুল্ক' বা সমাসবদ্ধ 'ইয়ার-উল- ee’ কিংবা আবব্য রজনীর 'শহর-ইয়ার'-এর ওজনে “মুলকৃ্‌-ইয়াব' অথবা সাদামাটা ১২