বইয়ের লেখক
বইয়ের আকার
23 MB
মোট পৃষ্ঠা
370
ধরণ
For Complaints/Suggesstions related to this material, please clickHere
বই থেকে নমুনা পাঠ্য (মেশিন অনুবাদিত)
(Click to expand)4/2
মুক্তির সাধন কি ? পূর্বে শাস্ত্র ও শাস্ত্রীয় সাধনের বিষয় Caste করিয়া শান্ত্রস্বরপ নিরূপিত
হইয়াছে; এক্ষণে অবসরক্রমে সাধনের বিষয় বর্ণিত হইতেছে। তত্বজ্ঞানই অবিদ্া-
নিবৃত্তির--মুক্তির একমাত্র সাধন; কারণ জ্ঞানই অজ্ঞানের নিবর্তক । লোকেও
গুক্তিতে র্জতন্রান্তি, রজ্জুতে সর্পভ্রান্তি, শুক্তি ও রঙ্জুর তত্বজ্ঞান দ্বারা নিবৃত্ত
হইয়া থাকে । যাহার সহিত যাহার বিরোধ পরিদৃষ্ট হয়, সেই তাহার মির্বর্তক
দেখা যায়, যেমন আলোক ও অন্ধকার। যাহারা কর্মাদ্বারা কিৎবা কর্্মসংকবত
জ্ঞানের দ্বারা মুক্তিলাভের আশা করিয়া থাকেন, তাহার! একটু বিচার করিয়া
দেখিলে বুঝিতে পারেন, ইহা নিতান্ত অসম্ভব। কারণ siag ফল অনিত্য;
ইহলোকে কয্যাদিকর্মন্ত শন্তাদি ফল যেমন অনিত্য, সেইরূপ লোকান্তরে
যাগাদি oy স্বর্গাদি ফলও অনিত্য হইয়া! থাকে। এ বিষয়ে শ্রুতি স্পষ্টই
বলিয়াছেন--তদ্যথেং safes cares ক্ষীয়তে এবমেবামুত্র পুণাচিতো
লোকঃ ক্ষীয়তে” ইত্যাদি। জ্ঞান ও Bria সমুচ্চয়ও সম্ভব হইতে পারে না;
কারণ, aca fafa অধিকারী, তিনি জ্ঞানে অধিকারী হইতে পারেন না।
আত্মার ব্রাম্মণত্বাদি অভিমানস্থাপন না করিলে, কখনও পুরুষ ব্রাহ্মণোচিত
কার্য্য করিতে সমর্থ va না; কিন্তু যিনি জ্ঞানে অধিকারী, তিনি সেই সমস্ত ধর্ম
আরোপিত জামিয়া আত্মার বিশুদ্ধতা সম্পাদন করিয়| থাকেন। অপিচ,
অধিকারী ও ফল fer হওয়ায় এককালে একপুরুষে যুগপৎ জ্ঞান ও কর্ণ্মের
স্থিতির সম্ভব নহে । বিশেষতঃ কর্ম অজ্ঞানসম্ত্বত এবং অজ্ঞানের দ্বারা তাহার
বৃদ্ধি হইয়া! থাকে । যে যাহা হইতে জাত এবং বন্ধিত, সে তাহার FAST হইতে
পারে all তাই বলিয়া কর্মাহষটান ব্যর্থ হয় না; কর্ম চিত্তগুদ্ধি সম্পাদন-
পুরঃসর জ্ঞান উৎপাদন করিয়া দেয়; সেই তত্বজ্ঞান একমাত্র মুক্তির সাধন;
ভগবান্ BETS তদীয় দর্শনে “তত্বজ্ঞানান্ নিঃপ্রেয়সাধিগমঃ" এই প্রথম-
সুত্রেই তত্বজ্ঞানকে মোক্ষদনাধন বলিয়া কীর্তন করিয়াছেন। ভগবান্ শীশঙ্করা-
চার্য্য এই তত্বজ্ঞানের উপদেশ দিয়া মুক্তির পথ প্রশস্ত করিয়া] দিয়াছেন। শঙ্কর-প্রাহুুর্ভাব। কালক্রমে ভারতে সনাতন আধ্যবর্ণাশ্মধর্শ্বের উপর ঘোরতর কুঠারাঘাত
হইল; বৌদ্ধ-জৈন-প্রমুখ নাস্তিকবৃন্দ সনাতন বেদের প্রতি aaa প্রদর্শন Saal
নবীন মত প্রচার করিতে লাগিল ।' পৃথিবীর প্রায় এক-চতুর্ণভাগ লোক সেই
ধর্শো দীক্ষিত হইল । এমন কি অনেক নৃপতি সেই ach দীক্ষিত হইয়া ayes
প্রঞ্জাদিগকে সেই ধর্শাদীক্ষ। প্রদান করিলেন; তদানীং বর্ণাশরমধর্শা বিধ্বস্ত,
বেদবিহিত কর্মানমুষ্ঠান বিলুপ্ত এবং সদাচার তিরোহিত হইতে লাগিল। কেবল
ব্রাহ্মণগণ সনাতন বর্ণাশ্রমধর্শ্মের রক্ষার জন্ত লোকালয় পরিত্যাগপূর্বক পুলিনে,
গহন বিপিনে, পর্বতকন্দারে অবস্থান করিতে লাগিলেন। কেহই তাহাদের
প্রবলবেগের সম্মুখে দাড়াইতে সমর্থ হইলেন না। তখন আর ভরগবান্ fey